মুহাম্মদ সাঃ এর স্ত্রীদের নাম
মুহাম্মদ সাঃ এর স্ত্রীদের নাম
হাদীসের মাধ্যমে নবীজী সাঃ এর ১৩ জন স্ত্রীর নাম পাওয়া যায়। যা নিম্নে বর্ণিত হলোঃ- ০১. খাদিজাহ
- ০২. সাওদাহ
- ০৩. আয়িশাহ
- ০৪. হাফসাহ
- ০৫. জয়নব
- ০৬. জুওয়াইরিয়া
- ০৭. মাইমূনাহ
- ০৮. সাফিয়া
- ০৯. মারিয়া
- ১০. রায়হানা
- ১১. উম্মে সালামাহ
- ১২. উম্মে হাবীবাহ
- ১৩. রামালাহ
- ০১. খাদিজাহ
- ০২. সাওদাহ
- ০৩. আয়িশাহ
- ০৪. হাফসাহ
- ০৫. জয়নব
- ০৬. জুওয়াইরিয়া
- ০৭. মাইমূনাহ
- ০৮. সাফিয়া
- ০৯. মারিয়া
- ১০. রায়হানা
- ১১. উম্মে সালামাহ
- ১২. উম্মে হাবীবাহ
- ১৩. রামালাহ
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) যখন যুবক, তখন থেকে তিনি তাঁর চাচার পরিবারের ব্যয় বহনে সাহায্য করতেন।
ঐ সময় তাঁর চাচা আবু তালিব অনেক কষ্টেসৃষ্টে তাঁর সংসার চালাতেন। ইতিমধ্যে খাদীজাহ বিনতে খুয়াইলিদ নামে শরীফ ঘরের এজন বিধবা মহিলা তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্যের দেখাশুনা করার দায়িত্ব হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর ওপর দিতে চান। এ সময় হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) অত্যন্ত সৎ, বিশ্বস্ত ও ন্যায়পরায়ণ যুবক হিসেবে সকলের নিকট সুপরিচিত ছিলেন।
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর হাতে
একারণেই খাদীজাহ তাঁর ব্যবসায়ের ভার হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর হাতে তুলে দেয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এ কাজটি গ্রহণ করেন এবং হযরত খাদীজাহ (রাঃ)-এর পণ্যসামগ্রী নিয়ে আশ-শাম সফরে যান। হযরত খাদীজাহর ক্রীতদাস মাইসারাহও তার সাথে যান । হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর দ্বিতীয় বাণিজ্যিক সফর
এটা ছিল আশ-শামে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর দ্বিতীয় বাণিজ্যিক সফর। তিনি সেখানে হযরত খাদীজাহর পণ্যসামগ্রী বিক্রি করেন এবং সেখান থেকে যে সব পণ্য কিনে আনতে বলা হয়েছিল তা কিনে নিয়ে মক্কায় ফিরে আসেন। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর বুদ্ধিমত্তা, কর্মদক্ষতা ও সততার কারণে তাঁর এ বাণিজ্যিক সফরের ফলে হযরত খাদীজা বিরাট মুনাফার অধিকারী হন।
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর এ সফরের সময়
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর এ সফরের সময় তাঁর সফরসঙ্গী মাইসারাহ লক্ষ্য করে যে, তাঁর পথচলাকালে সব সময় মেঘের ছায়া সূর্যের প্রখর তাপ থেকে তাঁকে রক্ষা করছে। মক্কায় ফিরে আসার সাথে সাথেই মাইসারাহ হযরত খাদীজার নিকট ছুটে যায় এবং হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর মহৎ চরিত্র
পথ চলাকালে মেঘের ছায়াদানের যে বিস্ময়কর ঘটনা সে দেখেছে তা তাঁর নিকট বর্ণনা করে এবং সেই সাথে ব্যবসার বিরাট মুনাফার কথাও জানায়। হযরত খাদীজাহ বিনতে খুয়াইলিদ ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা, বুদ্ধিমতি ও মহীয়সী মহিলা। তিনি হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর মহৎ চরিত্র, কর্মক্ষমতা ও দক্ষতায় অভিভূত হন। তাই তিনি হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)কে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন।
হযরত খাদীজাহর বয়স ছিল চল্লিশ
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর চাচা আবু তালিবের পরামর্শে এ প্রস্তাবে সম্মত হন। এ সময় বিধবা হযরত খাদীজাহর বয়স ছিল চল্লিশ বছর এবং হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর বয়স ছিল পঁচিশ বছর। বিবাহের পর তারা নতুন জীবন শুরু করেন। তারা তাদের বৈবাহিক জীবনে ছয়টি সন্তানের অধিকারী হন- দুই পুত্র ও চার কন্যা।
দুই পুত্রের নাম আল-কাসিম ও আবদুল্লাহ
তাঁদের দুই পুত্রের নাম আল-কাসিম ও আবদুল্লাহ (তারা যথাক্রমে তাহির ও তায়্যিব নামেও পরিচিত) এবং চার কন্যার নাম যাইনাব, রুকাইয়্যাহ, উম্মে কুলসুম ও ফাতিমাহ তাঁদের উভয় পুত্রই হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নুবুওয়াত লাভের পূর্বেই ইন্তেকাল করেন তাঁদের কন্যাগণ নুবওয়াতের যুগে বেঁচে ছিলেন এবং তারা ইসলাম গ্রহণ করেন ও মদীনায় হিজরত করেন।
মুহাম্মদ সাঃ এর দৈহিক বৈশিষ্ট্য কি
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ছিলেন দেখতে অত্যন্ত সুদর্শন। মাধ্যম গড়নের দেহের অধিকারী- না খুব লম্বা, না খাট। তার মাথা ছিল বড়, চুল ছিল ঘন কালো, কপাল ছিল প্রশস্ত, ভ্রু ছিলো মোটা, চোখ ছিল বড় ও ঘন কালো এবং চোখের পাপড়ি ছিল লম্বা।
তাঁর নাক ও দাঁত ছিল সুন্দর, দাড়ি ছিল ঘন কালো, ঘাড় ছিল লম্বা ও সুন্দর এবং তার বুক ও কাঁধ ছিল প্রশস্ত। তাঁর শরীরের চামড়ার রং ছিল উজ্জ্বল এবং তাঁর হাতের তালু ও পায়ের পাতা ছিল পুরু। তিনি যখন হেঁটে পথ চলতেন তখন দৃঢ়পদবিক্ষেপে হাঁটতেন। তার চেহারায় গভীর চিন্তার ছাপ ছিল। তাঁর চোখের দিকে তাকালে তাকে একজন সেনাপতি ও স্বভাব-নেতা বলে মনে হত।
মুহাম্মদ সাঃ এর স্ত্রীদের নাম
- ০১. খাদিজাহ
- ০২. সাওদাহ
- ০৩. আয়িশাহ
- ০৪. হাফসাহ
- ০৫. জয়নব
- ০৬. জুওয়াইরিয়া
- ০৭. মাইমূনাহ
- ০৮. সাফিয়া
- ০৯. মারিয়া
- ১০. রায়হানা
- ১১. উম্মে সালামাহ
- ১২. উম্মে হাবীবাহ
- ১৩. রামালাহ
কাবাঘর পুনঃনির্মাণ
হঠাৎ একবার মক্কায় প্লাবন হলে কাবাহ ঘরের ক্ষতি হয়, বিশেষ করে এর দেয়ালে ফাটল ধরে। তাই কাবাহর মেরামত বা পুনঃনির্মাণ জরুরী হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় কা'বাহ পুনঃনির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং কাজটি কুরাইশ গোত্রের চারটি শাখার মধ্যে বিভক্ত করে দেয়া হয়। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) একাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
হাজরে আসওয়াদ এর ইতিহাস
কাবাহর দেয়ালগুলাের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলল। এক পর্যায়ে এসে কা'বাহর দেয়ালে পবিত্র কালো পাথর (আল্-হাজারুল-আওয়াদ) স্থাপনের পালা এল । ইতিপূর্বে পাথরটি কাবাহর দক্ষিণ-পূর্ব কোণে স্থাপিত ছিল এবং সেখানেই পুনঃস্থাপন করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। উল্লেখ্য, এই কালো পাথরটি কাবাহ ঘর নির্মাণের সময় থেকেই পবিত্র হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে।
ইসলামের দৃষ্টিতেও এটি পবিত্র
মক্কাবাসীদের নিকটও এটি অতি পবিত্র হিসেবে গণ্য হত। ইসলামের দৃষ্টিতেও এটি পবিত্র। হাজ্জের সময় হাজ্জযাত্রীগণ হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর সুন্নাত অনুযায়ী ভক্তিসহকারে এ পাথরটিকে চুম্বন করেন। যেহেতু এ পাথরটি পবিত্র সেহেতু পাথরটি যথাস্থানে স্থাপন করার কাজটি বিশেষ মর্যাদার ব্যাপার বলে পরিগণিত হয়।
পোস্ট ট্যাগঃ