হিলফুল ফুজুল কি
হিলফুল ফুজুল
কি
মহানবী
(সাঃ) এর বয়স যখন
মাত্র ১৫ বছর ঠিক তখন মক্কায়
হারবুল ফিজার বা অপবিত্র
যুদ্ধ সংঘটিত
হয়। এ যুদ্ধের ফলে উভয় গোত্রের মানুষকেই চরম দুঃখ দুর্দশা ও দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। অযথা রক্তপাতের ফলে সকলের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিলএ ধরনের অর্থহীন রক্তপাত তাঁর নিকট খুবই খারাপ লাগে। এ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহয্যের লক্ষ্যে
এ হিলফুল ফুজুল গঠন করা
হয়।
হিলফুল ফুজুল
অর্থ
কি
হিলফুল ফুযুল একটি আরবি শব্দ যার অর্থ হলো শান্তি সংঘ। মহানবী (সাঃ) মাত্র ১৫ বছর বয়সে এই শান্তি সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। নবিজী সাঃ হিরবুল ফোজ্জার
যুদ্ধের ভয়বহতা দেখে এ হিলফুল ফুযুল গঠন করেন।
হিলফুল ফুজুল
বলতে
কি
বুঝায়
মহানবী
(সাঃ) এর বয়স যখন
মাত্র ১৫ বছর ঠিক তখন মক্কায়
হারবুল ফিজার বা অপবিত্র
যুদ্ধ সংঘটিত
হয়। এ যুদ্ধের ফলে উভয় গোত্রের মানুষকেই চরম দুঃখ দুর্দশা ও দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। অযথা রক্তপাতের ফলে সকলের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল।
হিলফুল ফুজুল
কি
ব্যাখ্যা
কর
কৈশোরে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)এর বয়স যখন পনের বছর তখন হাজ্জের মওসূমে কুরাইশ ও হাওয়াযিন গোত্রদ্বয়ের মধ্যে হারবুল ফিজার নামে এক যুদ্ধ বেধে যায়।মক্কার প্রাচীন রীতি অনুযায়ী হাজ্জের জন্যে নির্ধারিত মাসগুলো পবিত্র মাস হিসেবে গণ্য হত এবং এসময় যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ ছিল। এ সত্ত্বেও এ যুদ্ধ মাঝে মাঝে বিরতিসহ মোট চার বছর ধরে চলত।
হিলফুল ফুজুল
কি
কেন
গঠিত
হয়েছিল
এ যুদ্ধের ফলে উভয় গোত্রের মানুষকেই চরম দুঃখদুর্দশা ও দুর্ভোগের শিকার হতে হয়অযথা রক্তপাতের ফলে সকলের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিলএ কারণে এ যুদ্ধকে হারবুল ফিজার’ বা ‘অপবিত্র যুদ্ধ' বলা হয়। এ যুদ্ধের কারণটি হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)এর নিকট খুবই অর্থহীন বলে মনে হয় এ ধরনের
অর্থহীন রক্তপাত তাঁর নিকট খুবই খারাপ লাগেআরো অনেকের মনে এ নিয়ে চিন্তা জাগে এবং তারা যুদ্ধবন্ধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হন। ফলে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)এর এক চাচা আবু যুবাইর বিন আবদুল মুত্তালিবএর উদ্যোগে মক্কার অন্যতম প্রভাবশালী ও ধনী ব্যক্তি আবদুল্লাহ বিন জুদ'আনের বাড়ীতে একটি বৈঠক বসেবৈঠকে অর্থহীন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের এবং মযলুম, দরিদ্র ও অভাবী লোকদের সাহায্য করার জন্যে হিলফুল ফুযূল (কল্যাণের লক্ষ্যে মৈত্রী) নামে একটি সমিতি গঠন করা হয়।
হিলফুল ফুজুল
এর
কার্যক্রম
কি
ছিল
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং এ মর্মে শপথ গ্রহণ করেন যে,ইবনে জুআন আমাদের সম্মানে যখন বিরাট ভোজেরআয়োজন করেন তখন আমার উপস্থিতিতে যে চুক্তি সম্মাদিত হয় আমি তাকে সমুন্নত রাখব। যখনই ডাকা হবে তখনই আমি সে ডাকে সাড়া দেব।”
হিলফুল ফুজুল
এর
উদ্দেশ্য
কি
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এ মৈত্রীচুক্তিতে অংশগ্রহণ করায় এটাই প্রমাণিত হয় যে, এমন কি কিশোর বয়সেও তিনি জনকল্যাণমূলক কাজকর্মে আগ্রহী ছিলেনএখানে তোমাদের জন্য একটি শিক্ষণীয় বিষয় আছে।
হিলফুল ফুজুল এর কার্যক্রম কি
তা হচ্ছে, হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)এর জীবনকাহিনী অধ্যয়ন করে তোমাদেরকে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে তোমাদেরকে সমবয়সী কিশোরদের কল্যাণের কাজে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তোমরা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)এর জীবনী অধ্যয়ন করবে, এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং তা বাস্তবে অনুসরণ করবে।
হিলফুল ফুজুল
এর
উদ্দেশ্য
কি
ছিল
তোমরা যদি তোমাদের চারদিকে তাকিয়ে দেখ তাহলে তোমরা দেখতে পাবে যে, সমাজে বহু অন্যায়-অবিচার চলছে এবং বহু ভুল জিনিস পাকাপোক্ত হয়ে আছে।
হিলফুল ফুজুল
প্রতিষ্ঠার
উদ্দেশ্য
কি
এসব অন্যায়অবিচারের প্রতিকার ও পাপ কাজ প্রতিহত করার জন্যে তোমরা তোমাদের সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবেতাহলে আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদেরকে এই পৃথিবীর জীবনে ও পরকালের জীবনে (আখিরাত) পুরস্কৃত করবেন।
হিলফুল ফুজুল পরিশেষঃ
নবিজী সাঃ যুবক বয়সেই এ হিলফুল ফুজুল গঠন করেন। আজকের পোস্টে আমরা জানলাম হিলফুল ফুজুল কি? হিলফুল ফুজুল অর্থই বা কি? হিলফুল ফুজুল গঠনের উদ্দেশ্য কি? হিলফুল ফুজুল এর ব্যাখ্যা কি ইত্যাদি। এগুলো জেনে আমরা যুব সমাজ অসহায়দের সাহায্যের লক্ষ্যে এরকম সংঘ গঠন করতে পারি। তাহলে আল্লাহপাক আমাদের অনেক সওয়াব দান করবেন ইনশাআল্লাহ্।
পোস্ট ট্যাগঃ