পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উপকারিতা
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উপকারিতা
আমরা বুঝতে পারি যে নামাজের বা প্রার্থনার জন্য বিভিন্ন নিয়মকানুন রয়েছে।
একজন মুসলিম হিসাবে আপনারও একইভাবে জানা উচিত যে আল্লাহর কাছে যেকোনো বিষয়ে আবেদন করার সবচেয়ে আশ্চর্যজনক দিক হল সিজদা।
তাই সিজদা, শব্দটার
মধ্যে একাধিকবার আত্মসমর্পণ শব্দটি নির্দিষ্ট করা আছে। আমরা
কিভাবে সেজদা করি তা খেয়াল
করতে হবে। আমরা যখন
মসজিদের ভিতরে বসে থাকি তখন
আমাদের দেহমনে রক্তের প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে,
তবে দ্রুত শব্দ
করার জন্য এটি যথেষ্ট
নয়। যাই হোক না
কেন, আমরা যখন সিজদায়
থাকি তখন আমাদের মানসিক
সেরিব্রামে সাধারণের চেয়ে বেশি রক্ত প্রবাহিত
হয় যা একটি সুস্থ
মনের জন্য উপকারী। আরও
হলো, আমরা যখন সেজদা
করি, তখন আমাদের মুখের
ত্বকে সেরিব্রামের মতো পদার্থ নিঃসৃত
হয়, যা আমাদেরকে চিলব্লেইন
নামক ত্বকের অসুস্থতা এবং এই জাতীয়
অসংখ্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উপকারিতা
আমরা বুঝতে পারি যে নামাজের বা প্রার্থনার জন্য বিভিন্ন নিয়মকানুন রয়েছে।
একজন মুসলিম হিসাবে আপনারও একইভাবে জানা উচিত যে আল্লাহর কাছে যেকোনো বিষয়ে আবেদন করার সবচেয়ে আশ্চর্যজনক দিক হল সিজদা।
তাই সিজদা, শব্দটার মধ্যে একাধিকবার আত্মসমর্পণ শব্দটি নির্দিষ্ট করা আছে। আমরা কিভাবে সেজদা করি তা খেয়াল করতে হবে। আমরা যখন মসজিদের ভিতরে বসে থাকি তখন আমাদের দেহমনে রক্তের প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে,
তবে দ্রুত শব্দ করার জন্য এটি যথেষ্ট নয়। যাই হোক না কেন, আমরা যখন সিজদায় থাকি তখন আমাদের মানসিক সেরিব্রামে সাধারণের চেয়ে বেশি রক্ত প্রবাহিত হয় যা একটি সুস্থ মনের জন্য উপকারী। আরও হলো, আমরা যখন সেজদা করি, তখন আমাদের মুখের ত্বকে সেরিব্রামের মতো পদার্থ নিঃসৃত হয়, যা আমাদেরকে চিলব্লেইন নামক ত্বকের অসুস্থতা এবং এই জাতীয় অসংখ্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উপকারিতা
সিজদায় আরও উপকার রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যাদের ব্রঙ্কাইটিস আছে তাদের উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় ব্রঙ্কাইটিস পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমে।
যখন একজন ব্যক্তি সাধারণত শ্বাস নেয়, তখন ফুসফুসের দূষিত বাতাসের মাত্র ৬৬% বাকি অংশ থেকে বের হয়। সে যাই হোক না কেন, যখন কেউ সিজদায় নিমজ্জিত হয়, তখন তার পাকস্থলীর ভিসেরা পাকস্থলীর উপর চাপ দেয়, যার ফলে পেট ফুসফুসের উপর অবতরণকারী চাপ প্রয়োগ করে।
এইভাবে, যখন কেউ নামাজরত অবস্থায় সেজদাতে যায়, তখন ফুসফুসে জমা হওয়া নোংরা বাতাসের ৩৩%, বের হয়ে যায়। যা একটি ফুসফুসের জন্য প্রত্যাশিত হয়। অতএব, আমরা অবশ্যই আমাদের ফুসফুসের রোগ অপছন্দ করি।
যদি কেউ নামাজে সেজদা করে, তবে তার অর্শ্বরোগ এবং হার্নিয়া রোগটি অস্বাভাবিকভাবে কম হয়। কারণ নামাজে সেজদার বা আত্মসমর্পণের সময় দেহের বিভিন্ন অংশ কাজ করার কারনে।
নামাজ নিয়ে হাদিস
যখন আমরা সিজদা থেকে উঠে দাঁড়াই তখন পুরো শরীরের ভার আমাদের পায়ের উপর পড়ে এবং আমরা আমাদের পেশীতে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়।
যা আমাদের শিরায় রক্ত পেতে সাহায্য করে। উপরন্তু, আমরা যখন প্রার্থনা বা নামাজে, সেজদা, করি সেসময় বিভিন্ন অবস্থানে থাকি এবং যার ফলে আমাদের মেরুদণ্ডের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা হয় এবং আমাদের মেরুদণ্ড বিভিন্ন উপায়ে নড়াচড়া করে থাকে ফলে মেরুদন্ড সুস্থ থাকে।
এভাবে সিজদা বা নামাজের মাধ্যমে আমরা নানাভাবে দৈহিক সুস্থতা লাভ করে থাকি। মহান আল্লাহপাকের দয়ায়।
নিম্নে সালাতের সময় সেজদায় গেলে বা নামাজের উপকারিতা সম্বন্ধে দেওয়া হলোঃ
নামাজের শারীরিক উপকারিতা কি?
কোন নামাজ পড়লে কি হয়?
- ১. সালাতের সময় সিজদায় গেলে মানুষের মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পেয়ে স্মৃতি ক্ষমতা বেড়ে যায়।
- ২. নামাজে যখন আমরা দাড়াই তখন আমাদের চোখ যায় নামাজের সামনের জায়গায় ঠিক একটি কেন্দ্রে স্থির থাকে, ফলে আমাদের মনযোগ শক্তি বৃদ্ধি পায়।
- ৩. নামাজের মাধ্যমে আমাদের শরীরের একটি ব্যায়াম হয়। এই ধরনের ব্যায়াম অতি সহজেই সব ধরনের নারী পুরুষেরা করতে পারে।
- ৪. নামাজের মাধ্যমে আমাদের মনের অসাধারন পরিবর্তন আসে।
- ৫. সালাত সব ধরনের মানুষের শারিরীক কাঠামো বজায় রাখতে পারে। ফলে শারীরিক বিকলঙ্গতা লোপ পায়।
- ৬. সালাতের পূর্বে অযুর মাধ্যমে মানুষের মুখ মন্ডল সহ দেহের বিভিন্ন অংশ পরিস্কার রাখতে সহজ হয়ে থাকে যার দরুণ আমরা নান ধরনের রোগ-জীবাণু থেকে পরিত্রান পেয়ে থাকি এবং আল্লাহপাকের সাহায্য পাই।
- ৭. সালাতে অযুর সময় আমরা মুখমন্ডল তিন বার ধৌত করে থাকি যার দ্বারা মুখের রং ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে এবং মুখে কোনোধরনের দাগ থাকে না।
- ৮. অযু করার ফলে মুখে পানি দিয়ে পরিষ্কার করার ফলে আমাদের মুখে এক প্রকার মেসেজ তৈরি হয় ফলে আমাদের ত্বকের রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায় ও ত্বকের বলিরেখা কমতে থাকে।
- ৯. কৈশোর কালে সালাত আদায়
করার কারণে আমাদের মনের পবিত্রতা বৃদ্ধি পায় এবং সেই সময় নানা ধরনের অসামাজিক কাজ
কর্ম থেকে দূরে থাকা যায়।
- ১০. শুধু নামাজের দ্বারাই চক্ষুর পরিচর্যা বা যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় যার দরুণ বেশিরভাগ মুসল্লিরই চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায় ও চোখের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে।
অবশেষেঃ
মহান আল্লাহপাক আমাদের সঠিকভাবে নামাজ আদায় করার ও আমরা যা ইবাদত বন্দেগী ইসলাম ও জীবনে,
জিকির আযগার, নামাজ, রোজা, হজ্ব ও যাকাত আদায় করে থাকি তা একমাত্র মহান আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি ও মহানবী সাঃ এর দেখানো পথে আদায় করতে পারি সেই তৌফিক দান করুন। আমিন।