মৃত্যু অনিবার্য
মানুষের মৃত্যু কেন হয়? প্রতিটি প্রাণী বা প্রাণশীল সৃষ্টিকেই মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হবে।
আমাদের প্রত্যেকের নিকটই মৃত্যু
আসবে। আমাদের সকলকেই মরতে হবে। মৃত্যু চিরন্তন সত্য। এ সম্বন্ধে কুর'আন মজীদে এরশাদ
হয়েছে: “প্রতিটি নাফ্স্ (প্রণসত্তা)-ই মৃত্যুবরণ করবে।” (সূরাহ আলে ইমরান- ১৮৫) মনে
রাখতে হবে, নফস আর রূহ এক কথা নয়।
পৃথিবীর
বুকে আমাদের এ জীবন নিতান্তই সাময়িক। মৃত্যু আমাদের এ জীবনের সমাপ্তি ঘটিয়ে দেয়।
মৃত ব্যক্তির প্রিয়জনদের জন্য তার মৃত্যু একটি দুঃখ-বেদনার ঘটনা। ইসলামী রীতি অনুযায়ী
মুসলমানরা কুরআন তেলাওয়াত ও দু'আ-মুনাজাতের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশ
করে।
ইসলাম
আমাদেরকে এ কথাটি মনে রাখতে বলে যে, মৃত্যু যে কোন সময় এসে হাযির হতে পারে। কেবল আল্লাহ্
তা'আলাই জানেন কখন তাঁর বান্দাহ্ মারা যাবে। মৃত্যু আমাদের দেহকে ধ্বংস করে দেয়, কিন্তু
আমাদের রূহকে ধ্বংস করতে পারে না। মৃত্যুর ফেরেশতা (আযরাইল (আঃ)) আমাদের রূহগুলোকে
নিজের দায়িত্বে-আল্লাহর কাছে নিয়ে যান। (সূরাহ আস্-সাজ্দাহ্- ১১)
যে ব্যক্তি মৃত্যু ও মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের কথা স্মরণ করে সে অবশ্যই ভাল কাজ করবে এবং আল্লাহ্ তাআ'লার আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে। ইসলামের বিধান অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির লাশ (মৃতদেহ)-কে কবর দেয়ার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে গোসল দেয়া হয়।
এরপর লাশটিকে কয়েক টুকরা সাদা কাপড়
দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় এবং এর ওপর সুগন্ধি ছড়িয়ে দেয়া হয়। কবর দেয়ার আগে মৃতব্যক্তির
জন্যে জামা'আতে বিশেষ ধরনের ছালাত আদায় করা হয়, একে ছালাতুল জানাযাহ্ বলা হয়।
“ইসলাম
পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তিশীল: এ মর্মে সাক্ষ্য দেয়া যে, “আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্
(উপাস্য) নেই” এবং (এ মর্মে) যে, “মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল”, আর ছালাত কায়েম করা,
যাকাত্ দেয়া, হজ্জ ও রামাদানের সাওম।” (আল্-বুখারী)
হাদীসে উল্লেখকৃত পাঁচ
রোকন (স্তম্ভ) হচ্ছে:
শাহাদাহ'
(ঈমানের ঘোষণা)
ছালাত'
(দৈনিক পাঁচবার বাধ্যতামূলক ইবাদত)
যাকাত
(দরিদ্রদের কল্যাণে নির্ধারিত বাধ্যতামূলক ব্যয়)
হজ্জ
(মক্কায় গমন ও বিশেষ ধরনের ইবাদত)
ছাওম
(রমাদান মাসের রোযা)
শাহাদাহ বা ঈমানের ঘোষণা
পাঁচ কালেমা
কালিমা তাইয়্যেবা
La ilaha illallahu muhammadur rasulullah
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
একজন
মুসলমানকে নিম্নলিখিত বাক্য উচ্চারণ করে তার ঈমানের ঘোষণা দিতে হয়: (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্) এ আরবী কথাটির অর্থ হচ্ছে: “আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ (উপাস্য)
নেই; মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল (সাঃ)।”
এ
কথাটিকে 'কালিমাহ্ তাইয়্যিবাহ্ (পবিত্র বাক্য) বলা হয়। এতে ইসলামের পুরো বিশ্বাস
নিহিত রয়েছে। এর দু'টি অংশ। প্রথম অংশে অর্থাৎ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” অংশে আল্লাহ্
তা'আলার একত্বের কথা বলা হয়েছে- যাকে আরবী ভাষায় বলা হয় তাওহীদ। আর দ্বিতীয় অংশে
অর্থাৎ “মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্” অংশে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর রিসালাহর কথা বলা
হয়েছে।
শব্দগুলোর সঠিক উচ্চারণ যথাক্রমেঃ আশ্-শাহাদাহ, আছ-ছালাহ ও আয্-যাকাহ। শব্দগুলো অন্য শব্দের সাথে মিলিত হলে উচ্চারণ হবেঃ আশ্-শাহাদাতু, আহ্-ছালাতু ও আয্-যাকাতু (যেমন: আছ-ছালাতুল ফাজর, আয-যাকাতুল ফিতরা)। ভাষার গতিশীলতার স্বার্থে এখানে সর্বজনীনভাবে প্রচলিত উচ্চারণ ব্যবহৃত হচ্ছে, তবে সঠিক উচ্চারণ জানা থাকা সকলের জন্যেই জরুরী।
প্রথম
অংশে যে চারটি শব্দ রয়েছে তার মধ্যে প্রথম শব্দ হচ্ছে 'লা', এর মানে 'না' বা ‘নেই'।
দ্বিতীয় শব্দ ‘ইলাহ্’, এর মানে ‘উপাস্য’। তৃতীয় শব্দ “ইল্লাহ”, এর মানে ‘ব্যতীত'।
আর চতুর্থ শব্দ হচ্ছে ‘আল্লাহ্'। দ্বিতীয় অংশে রয়েছে তিনটি শব্দ : প্রথম শব্দ 'মুহাম্মাদ',
দ্বিতীয় শব্দ ‘রাসূল’ অর্থাৎ ‘বাণীবাহক বা দূত’ এবং শেষ শব্দ ‘আল্লাহ্' দ্বিতীয় ও
তৃতীয় শব্দ যুক্ত হয়েছে ‘রাসূলুল্লাহ্' মানে 'আল্লাহর রাসূল'।
শাহাদাহ বা ঈমানের ঘোষণা
ইসলামের প্রথম স্তম্ভ হচ্ছে, এই শাহাদাহ্ অর্থাৎ তাওহীদ ও হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর রিসালাহ্ সম্বন্ধে সাক্ষ্য। অপর চারটি স্তম্ভ ইসলাম কর্তৃক নির্ধারিত কর্তব্য— যাকে “ইবাদাত্ বলা হয়। ‘ইবাদাত্ একটি আরবী শব্দ। এতে আল্লাহ্ তা'আলর সন্তুষ্টির জন্যে করা যে কোন কাজই অন্তর্ভুক্ত।
সালাত, যাকাত্, হজ্জ ও ছাওম্ হচ্ছে প্রধান চার ধরনের নির্ধারিত ইবাদাত।
আমরা যদি নিয়মিত ও ঠিকভাবে এ কাজগুলো করি তাহলে আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তা, রক্ষাকর্তা
ও পালনকর্তা আল্লাহ্ তা'আলার ঘনিষ্ঠতা হাসিল করতে পারব।
বস্তুতঃ এই চারটি মৌলিক কৰ্তব্য অর্থাৎ সালাত, যাকাত্, হজ্ ও সাওম্ হচ্ছে ইসলামের প্রশিক্ষণ কর্মসূচী। শাহাদতকে কেন্দ্র করে আমাদের জীবনকে গড়ে তোলার জন্যে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচী দেয়া হয়েছে। আমরা জানি যে, আমরা আল্লাহ্ তা'আলারই সৃষ্টি এবং তিনিই আমাদের মালিক ও প্রভু।
তাই আমাদের সৃষ্টিকর্তা মালিকের দাস হিসেবে চলা ও আচরণ করার জন্যে আমাদেরকে অবশ্যই সঠিকভাবে ও আন্তরিকতার সাথে ছালাত, যাকাত্, হজ্জ্ব ও ছাওমের কর্তব্য পালন করতে হবে।
সালাত
Namaj
সালাত হচ্ছে ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ। মুসলমানদের জন্যে দৈনিক পাঁচবার ছালাত আদায় বাধ্যতামূলক (ফরয) করা হয়েছে। ছালাত ব্যক্তিগতভাবেও আদায় করা যায়। তবে বয়স্ক পুরুষলোক ও বালেগ (প্রাপ্তবয়স্ক) কিশোর-তরুণদের জন্য জামা'আতে (একত্রিত হয়ে দলবদ্ধভাবে) ছালাত আদায়কেই বেশী পছন্দ করা হয়েছে।
অবশ্য সম্ভব হলে মহিলা ও বালিকারাও জামা'আতে শরীক হয়ে ছালাত আদায় করতে পারে। আমরা আল্লাহকে স্মরণ করার জন্যে ছালাত আদায় করি। ছালাত আমাদেরকে আল্লাহ্ তা'আলার সাথে ঘনিষ্ঠ করে দেয়। এ সম্পর্কে কুর'আন মজীদে এরশাদ হয়েছে: “নিঃসন্দেহে আমিই আল্লাহ্; আমি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই।
অতএব, আমার ‘ইবাদাত কর, আর আমাকে স্মরণের
জন্যে ছালাত কায়েম কর।” (সূরাহ তা-হা- ১৪) ছালাত হচ্ছে আল্লাহ্ ও ইসলামে আমাদের ঈমানের
কার্যতঃ প্রমাণ। সুনির্দিষ্ট সময়ে এ ছালাত আদায় করা ফরয করা হয়েছে।
মৃত্যু পরবর্তী
জীবন
life after death
ইসলামের
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিশ্বাস হচ্ছে তাওহীদ (আল্লাহর একত্ব), রিসালাহ্ (আল্লাহর
বাণী বাহকের পদ) ও আখিরাহ্ (মৃত্যুপরবর্তী জীবন)।
আখিরাহ্-তে বিশ্বাস মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ পৃথিবীর বুকে আমাদের জীবন অস্থায়ী, স্বল্পকালীন। এর মানে হচ্ছে আমাদেরকে আখিরাত অনন্ত জীবনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
মৃত্যু ব্যক্তি
একবার ভেবে দেখো তো, ভাল কাজের পুরস্কার না পেলে ও মন্দ কাজের শাস্তি না হলে এ পৃথিবীর জীবন কি অর্থহীন নয়? অবশ্যই। আমরা যে স্কুলে যাতায়াত করি সেখানে যদি খারাপ আচরণের জন্য শাস্তি দেয়া না হয় এবং আমাদের চেষ্টা-সাধনা-অধ্যবসায়ের কারণে বছরের শেষে পুরস্কার দেয়া না হয় তাহলে কেন আমরা স্কুলে যাব?
একইভাবে আমরা যদি মৃত্যুর পরে শেষ বিচারের দিনে (ইয়াওমূল আখিরাহ্ বা ইয়াওমুদ্দীন-এ) সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ তা'আলার ন্যায়বিচারের আদালতে দাঁড়িয়ে আমাদের দুনিয়ার জীবনের কাজকর্মের ভাল-মন্দ ফলাফল না পাই তাহলে এ দুনিয়ার জীবনটা একেবারেই অর্থহীন।
তাই মহান আল্লাহ্ তা'আলা মানুষের জন্য মৃত্যুপরবর্তী
অনন্ত জীবনে দুনিয়ার জীবনের ভালো-মন্দ কাজকর্মের জন্য পুরস্কার ও শাস্তির ব্যবস্থা
রেখেছেন।
শেষ
বিচারের দিনে আল্লাহর আদালতে হাযির হবার জন্যে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হলে আমাদেরকে
নবী-রাসূলগণের (আঃ) মাধ্যমে আল্লাহ্ তা'আলার পাঠানো হেদায়াতের অনুসরণ করতে হবে। বস্তুতঃ
মৃত্যুর পরে যদি কোন জীবন না থাকত এবং থাকলে তাতে দুনিয়ার জীবনের ভাল-মন্দ কাজকর্মের
পুরস্কার ও শাস্তি না থাকত তাহলে নবী- রাসূলগণকে (আঃ) পাঠানোর কোন প্রয়োজনই থাকত না।
অনেক লোক আছে যারা মৃত্যুর পরে কোন জীবন আছে কিনা তা নিয়ে আদৌ মাথা ঘামায় না। আর অনেকে মৃত্যুপরবর্তী জীবনের কথা অবিশ্বাস করে। এসব লোককে তাদের এ উদাসীনতা বা অবিশ্বাসের জন্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
সম্ভবতঃ কোন মানুষই বলতে পারে না যে, মৃত্যুর পরে কোন জীবন নেই। কেউ হয়ত এ ব্যাপারে বড়জোর সন্দেহ করতে পারে। কিন্তু তার সন্দেহ যদি ভুল প্রমাণিত হয় তাহলে তাকে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই সতর্কতার জন্যে এ ব্যাপারে নবী-রাসূলগণ (আঃ) যা বলেছেন তা বিশ্বাস করা উচিত।
বস্তুতঃ আখিরাহ্ সম্বন্ধে উদাসীনতা
একটা বড় ধরনের ব্যর্থতা। আমরা নিশ্চিত জানি যে, সকল মানুষই মৃত্যুবরণ করবে। তাই মৃত্যুপরবর্তী
সেই চিরকালীন জীবনের জন্য তৈরী হওয়াই যুক্তিসঙ্গত কাজ। কারণ এরূপ একটি জীবনের অস্তিত্ব
সম্বন্ধে সন্দেহ করার পক্ষে কোনই যুক্তি নেই।
কাফিররা
(যারা আল্লাহর অস্তিত্ব স্বীকার করে না) মৃত্যুপরবর্তী জীবনের সম্ভাবনা সম্পর্কে সন্দেহ
প্রকাশ করেছে। আসলে আল্লাহ্ তা'আলা মৃত ব্যক্তিদের কিভাবে জীবিত করবেন তা তারা বুঝতে
পারছে না। কিন্তু যখন মানুষের অস্তিত্ব ছিল না আল্লাহ্ তা'আলা তখন তাকে শূন্য থেকে
সৃষ্টি করতে পেরেছেন তাই তাঁর পক্ষে মৃত মানুষদের পুনরায় জীবন দান করা কোনই কঠিন ব্যাপার
নয়। (আল্-কুর'আন : সূরাহ আল্-হাজ্জ- ৫-৭)
মানুষের মৃত্যু কেন হয়
কুর'আন
মজীদে এরশাদ হয়েছে: মানুষ কি মনে করেছে যে, আমরা (তাদের পঁচে মাটিতে মিশে যাওয়া)
অস্থিগুলোকে একত্রিত করব না? অবশ্যই; আমরা তার একটি আঙ্গুলের ডগাকেও নিখুঁতভাবে (আগের
মতই) বানাতে সক্ষম।” (সূরাহ আল্-কিয়ামাহ্ ৩-৪)"
সকল
মনুষই যদি মনে করত যে, মৃত্যুর পরে আর কোন জীবন নেই তাহলে এ পৃথিবীর জীবনে শান্তির
কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেত না, বরং দুনিয়ার জীবন হতো চরম অশান্তিতে পরিপূর্ণ একটি
ভয়ঙ্কর জীবন। কারণ সে ক্ষেত্রে আমাদের খেয়াল-খুশী মাফিক চলার পথে কোন বাধা বা নিয়ন্ত্রণ
থাকত না।
বস্তুতঃ আখিরাহ্-তে বিশ্বাস একজন মুসলিমের জীবনের ওপর দারুণ প্রভাব বিস্তার করে থাকে। কারণ সে জানে যে, আল্লাহ্ তা'আলা তার সকল কাজকর্মের ওপর দৃষ্টি রাখছেন এবং শেষ বিচারের দিনে তাকে তার কাজ কর্মের হিসাব দিতে হবে।
সুতরাং তার কাজকর্ম ও আচরণ অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত
এবং দায়িত্বশীলতা ও সতর্কতার সাথে সম্পাদিত হবে। সে সব সময়ই সেই সব কাজ করার চেষ্টা
করবে আল্লাহ্ তা'আলা যা পছন্দ করেন এবং যে সব কাজ তার জন্য আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে
শাস্তিকে অনিবার্য করে তুলবে সে সব কাজ পরিত্যাগ করে চলবে।
একজন
মুসলিম বিশ্বাস করে যে, এ পৃথিবীর জীবনে সে যে সব ভাল কাজ করবে মৃত্যুপরবর্তী জীবনে
সে জন্য তাকে পুরস্কার দেয়া হবে। সে চিরকালীন সুখ-শান্তির জায়গা জান্নাতে বসবাস করবে।
যারা
তাওহীদ, রিসালাহ্ ও আখিরাহ্-তে অবিশ্বাস করে বা বিশ্বাস করলেও পাপাচারে লিপ্ত থাকে
শেষ বিচারের দিনে তাদেরকে জাহান্নামে পাঠানো হবে। আর জাহান্নাম হচ্ছে কঠিন শাস্তি ও
অবর্ণনীয় দুঃখ- দুর্দশার জায়গা।
শেষ বিচারের দিনের জন্যে তৈরী হওয়া এবং সেদিনে দয়াময় মেহেরবান আল্লাহ্ তা'আলার নিকট থেকে পুরস্কার লাভের জন্যে আমাদেরকে আল্লাহ্ তা'আলার আদেশকৃত সকল কাজ করতে হবে এবং তাঁর নিষেধকৃত কাজ তথা সকল খারাপ কাজ ও অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে।
আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে তাঁর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নিকট যে হেদায়াত পাঠানো হয়েছে কেবল তা অনুসরণের মাধ্যমেই আমরা আল্লাহ্ তা'আলার আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে পারি। আখিরাহ্-তে সাফল্যের জন্যে এটাই একমাত্র নিরাপদ কর্মনীতি।