হুদায়বিয়ার সন্ধি কি
হুদায়বিয়ার সন্ধি কি
হুদায়বিয়ার সন্ধি কত সালে সংঘটিত হয় তা অনুষ্ঠিত হয় হিজরতের ষষ্ঠ বছরে অর্থাৎ ৬২৮ খৃস্টাব্দে। হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কা'বাহ্ ঘরের ‘ওমরাহ (ছোট হজ্জ) করার জন্যে মক্কা সফরে যাবার কথা ঘোষণা করেন। এরপর তিনি ১৪০০ জন ছাহাবীকে সাথে নিয়ে 'ওমরাহর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
তিনি তাঁর সাথীদেরকে সফরের তলোয়ার ছাড়া অন্য কোন অস্ত্রশস্ত্র সাথে নিতে কঠোরভাবে নিষেধ করেন। উল্লেখ্য, সে যুগে আরবরা সাধারণভাবে সর্বাবস্থায় এ ধরনের তলোয়ার বহন করত এবং একে কোনরূপ হুমকি বা যুদ্ধাস্ত্র বলে গণ্য করত না।
মক্কার
কুরাইশরা ভালভাবেই জানত যে, হযরত
মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তাঁর
সঙ্গীসাথীদের এ সফরের একমাত্র
উদ্দেশ্য হচ্ছে 'ওমরাহ সম্পাদন। কিন্তু তারা যখন মদীনায়
প্রবেশে ব্যর্থ হয়েছে তখন তাদের পক্ষে
কি মুসলমানদেরকে মক্কায় প্রবেশ করতে দেয়া সম্ভব?
তাই তারা মুসলমানদেরকে বাধা
দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
মক্কার কুরাইশরা পুরোদস্তুর পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করে। তারা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তাঁর সঙ্গীসাথীদের মক্কায় প্রবেশে বাধা দেয়ার জন্যে মক্কার শীর্ষস্থানীয় দুই সেনাপতি খালিদ ও ‘ইক্রামাহর নেতৃত্বে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে ও সতর্ক অবস্থায় রাখে।
মুসলমানরা মক্কার দিকে যাত্রা অব্যাহত
রাখেন এবং মক্কার নিকটবর্তী
হুদায়বিয়াহ নামক স্থানে শিবির
স্থাপন করেন। কুরাইশরা আসলে কি চায়
তা জানার জন্যে ব্যবস্থা নেয়া হল। সুস্পষ্টভাবে বুঝা
গেল যে, তারা মুসলমানদেরকে
মক্কায় প্রবেশ করতে দেবে না;
তারা যুদ্ধ করার জন্যে প্রস্তুত
হয়ে আছে।
অন্যদিকে
কুরাইশরাও মুসলমানদের সংখ্যাশক্তি ও অস্ত্রশস্ত্র সম্বন্ধে
খোঁজখবর নিল। তারা বুঝতে
পারল যে, মুসলমানরা অন্য
কোন উদ্দেশ্যে নয়, কেবল কাবাহ্
গৃহের 'ওমরাহ করার উদ্দেশ্যেই এসেছেন।
উভয় পক্ষ থেকেই পরস্পরের নিকট দূত পাঠানো হল। হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর দূতের মাধ্যমে কুরাইশদের নিকট অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাষায় তাঁর উদ্দেশ্যের কথা জানালেন। কিন্তু কুরাইশরা তাঁর দূতের সাথে দূর্ব্যবহার করে ও মুসলমানদেরকে হুমকি দেয়। মুসলমানদেরকে তখন চরম ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হচ্ছিল।
তাঁরা
তাঁদের সফরের তলোয়ারের সাহায্যেই কুরাইশদেরকে উপযুক্ত শিক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হলেন।
কিন্তু হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
তাঁদেরকে যে কোন অবস্থায়
ধৈর্য ধারণ ও আত্মসম্বরণের
জন্য নির্দেশ দেন।
কুরাইশরা ঐ বছরের জন্য মুসলমানদেরকে মক্কায় 'ওমরাহ বা হজ্জ করতে না দেয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। কারণ তারা বিষয়টিকে তাদের মর্যাদার সাথে জড়িত করে নিয়েছিল। অন্যদিকে তাদের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া মুসলমানদের জন্য খুবই অপমানজনক ছিল।
কিন্তু তাঁদের পক্ষে কি করা সম্ভব
ছিল? আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তাঁদের নেতা
এবং তিনি যে কোন
পদক্ষেপই গ্রহণ করেন তা আল্লাহ্
তা'আলার নির্দেশেই গ্রহণ
করে থাকেন। তাই মুসলমানদের কর্তব্য
হচ্ছে শুধু তাঁর হুকুম
মেনে চলা ও তাঁর
অনুসরণ করা ৷
হুদায়বিয়ার সন্ধির
লেখক
হযরত আলী (রা:) হুদায়বিয়ার সন্ধির
লেখক
ছিলেন। দীর্ঘ
আলাপ-আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ও কুরাইশদের
মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত
হয়। এ চুক্তিই ইতিহাসে
হুদায়বিয়াহর সন্ধি নামে পরিচিত হয়।
হুদায়বিয়ার
সন্ধির শর্ত গুলো কি কি
ছিল:
ক)
মুসলমানরা এ বছর মক্কা
যিয়ারত করবে না, তবে
তারা এক বছর পরে
আসবে এবং মাত্র তিন
দিন থাকবে।
খ)
একপাক্ষিক প্রত্যর্পণ হবে- মক্কার কোন
লোক রাসূল (সাঃ)-এর নিকট
আশ্রয় নিলে কুরাইশরা দাবী
করলে তাকে ফিরিয়ে দেয়া
হবে, কিন্তু কোন মুসলমান মক্কায়
আশ্রয় নিলে তাঁকে রাসূলের
(সাঃ)-এর নিকট ফেরত
পাঠানো হবে না।
গ)
দশ বছরের জন্যে দু'পক্ষের মধ্যে
শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। এ সময়ের
মধ্যেমুসলমানরা মক্কা ও তায়েফে যাতায়াত
করতে পারবে এবং কুরাইশরা মুসলিম
এলাকার মধ্য দিয়ে আশ্-শামে (সিরিয়ায়) যাতায়াত করতে পারবে।
ঘ)
কোন পক্ষের সাথে তৃতীয় পক্ষের
যুদ্ধ হলে অপর পক্ষ
নিরপেক্ষ থাকবে। অন্য যে কোন
গোত্র মুসলমান বা কুরাইশদের সাথে
চুক্তি সম্পাদন করতে চাইলে করতে
পারবে ৷
চুক্তির
শর্তাবলীতে মুসলমানরা খুবই মনঃক্ষুণ্ণ হন।
কিন্তু শীঘ্রই আল্লাহ্ তা'আলা তাঁদেরকে
বিজয়ের সুসংবাদ দেন। আল্লাহ্ তা'আলা কুর'আন
মজীদের আয়াত নাযিল করে হযরত মুহাম্মাদ
(সাঃ) কে জানিয়ে দিলেন:
“নিঃসন্দেহে আমি তোমাকে সুস্পষ্ট
বিজয়ে বিজয়ী করেছি।” (সূরাহ্ আল্-ফাহ ১)
তোমরা ভেবে অবাক হতে পার যে, এ একতরফা চুক্তি কিভাবে বিজয় বলে গণ্য হতে পারে? কিন্তু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখলে তোমরাও বুঝতে পারবে যে, অবশ্যই এটা বিজয় ছিল। কারণ এ চুক্তির ফলে দুই পক্ষের মধ্যকার দীর্ঘকালীন উত্তেজনা দূর হয় এবং পারস্পরিক যোগাযোগের পথ উন্মুক্ত হয়।
এখন থেকে মক্কার লোকদের পক্ষে মদীনায় এসে মুসলমানদের সাথে সময় কাটানো সম্ভব হওয়ায় মুসলমানদের জন্য পাষাণ হৃদয় মক্কাবাসীদেরকে প্রভাবিত করার সুযোগ সৃষ্টি হল। প্রকৃত পক্ষে হুদায়বিয়াহর চুক্তির পরবর্তী কয়েক বছরে নতুন ইসলাম গ্রহণকারী লোকদের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়।
খালিদ বিন আল ওয়ালীদ
ও ‘আমর
বিন্
আল্-'আস্
এ সময়ই ইসলাম গ্রহণ করেন। প্রথম জন পরবর্তীকালে ইসলামের
ইতিহাসের বিখ্যাত সেনাপতি হন এবং দ্বিতীয়
জন মিসর বিজয় করেন।
এ
চুক্তির ফলে এটা নিঃসন্দেহে
প্রমাণিত হয় যে, হযরত
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও মুসলমানগণ
শান্তির সমর্থক ছিলেন। এর ফলে মক্কায়
আটক মুসলমানদের পালিয়ে যাওয়ার পথও খুলে যায়।
কারণ পরে কুরাইশদের উদ্যোগেই
চুক্তির প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত ধারা বাতিল করা
হয়।
আর
এই হুদায়বিয়াহ চুক্তির পরিণতিতেই হিজরতের অষ্টম বর্ষে ৬৩০ খৃস্টাব্দে মুসলমানদের
পক্ষে মক্কা বিজয়ের পথ খুলে যায়।
মক্কা বিজয় হয় কত হিজরীতে?
মক্কা বিজয়
হুদায়বিয়াহর
সন্ধির পরবর্তী কয়েক বছরে হযরত রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) রোম, পারস্য, মিসর
ও আবিসিনিয়ার সম্রাটদের এবং শামের গোত্রপতি
ও অন্যান্য নেতাদের নিকট দূত পাঠিয়ে
তাঁদেরকে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দেন।
হিজরতের সপ্তম বছরে খায়বারে ইয়াহুদী বানূ নাযির গোত্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। তারা মদীনা থেকে বহিস্কৃত হবার পর খায়বারে আশ্রয় নিয়েছিল এবং আহযাবের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। অতঃপর খায়বার সক্রিয় ইসলাম-বিরোধীদের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।
তাই হযরত রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) সেখানকার দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। দীর্ঘ অবরোধ
এবং বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি দীর্ঘস্থায়ী সংর্ষের পর ইয়াহূদীদের দুর্গের
পতন ঘটে।
এদিকে
মুসলমানদের শক্তি ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং
নতুন নতুন লোকেরা ইসলাম
গ্রহণ করতে থাকে ৷
হুদায়বিয়াহর চুক্তিতে
যে কোন গোত্রকে মুসলিম
বা কুরাইশদের সাথে চুক্তি করার
স্বাধীনতা দেয়া হয়েছিল। এর ভিত্তিতে বানূ
খুযা'আহ
মুসলমানদের সাথে এবং বনূ বাকর কুরাইশদের সাথে মৈত্রীচুক্তি স্বাক্ষর
করে।
হুদায়বিয়াহ চুক্তির দুই বছর পর একদিন রাতের বেলা বানূ খুযা'আহর লোকেরা ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালে বানূ বারের লোকেরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
তখন বান্ খুযা'আহর লোকেরা
আল্-কা‘বাহতে আশ্রয়
নেয়। কিন্তু তাদেরকে আল-কা‘বাহ্
হারাম এলাকার মধ্যেই হত্যা করা হয়।
এভাবে
হুদায়বিয়াহর চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়। তখন
হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কুরাইশদের নিকট
চরমপত্র পাঠান এবং নীচের তিনটি
পন্থার যে কোন একটি
বেছে নিতে বলেন:
- ১। বনু খুযা'আহর ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের জন্যে ক্ষতিপূরণ দান;
- ২। বনূ বাকরের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার;
- ৩। হুদায়বিয়াহর সন্ধি আর কার্যকর নেই বলে ঘোষণা দান।
কুরাইশরা
প্রথম দু'টি পন্থার
একটিতেও রাযী হল না।
তারা হুদায়বিয়ার সন্ধিকে অকার্যকর বলে ঘোষণা করল।
মক্কাবিজয় হয় কত হিজরীতে তা ৬৩০ খৃস্টাব্দে সংঘটিত হয়। অতঃপর হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সামনে কুরাইশদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প থাকল না। তিনি হিজরতের অষ্টম বর্ষে ৬৩০ খৃস্টাব্দে ১০ হাজার সৈন্যসহ মক্কার উদ্দেশে রওয়ানা হলেন।
তাঁর মক্কা অভিযানের
খবর যাতে গোপন থাকে
এজন্য তিনি পুরোপুরি সতর্কতা
অবলম্বন করেন। রামাদান মাসের দশ তারিখে তিনি
এ অভিযানে বের হন।
শক্তিশালী
মুসলিম বাহিনীর অগ্রযাত্রা রোধ করার কোন
ক্ষমতাই কুরাইশদের ছিল না। কারণ
কুরাইশ গোত্রের সকল বিখ্যাত যোদ্ধাই
ইতিমধ্যেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। এমতাবস্থায় কিভাবে কুরাইশদের পক্ষে যুদ্ধ করা সম্ভব ছিল?
মুসলিম বাহিনীর শক্তি দেখে তারা পুরোপুরি
হতাশায় ভেঙ্গে পড়ে।
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর ঘোরতর দুশমন আবু সুফিয়ান দেখল যে, পালিয়ে যাবার কোন পথ নেই। তাই সে হযরত রাসূলুল্লাহর (সাঃ)-এর চাচা হযরত 'আব্বাস (রাঃ) কে অনুরোধ করল তাকে হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কাছে নিয়ে যাবার জন্য।
হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
আবু সুফিয়ানকে বিনা শর্তে ক্ষমা
করে দিলেন। চিন্তা করে দেখ, তিনি
কেমন মহানুভবতার
অধিকারী ছিলেন যে, তাঁর সব
চেয়ে বড় দুশমনকে এভাবে
ক্ষমা করে দিলেন! তখনই
আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণ করে।
কোন
রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই মুসলিম
বাহিনী মক্কায় প্রবেশ করে। মক্কাবাসীরা দরজা
বন্ধ করে নিজ নিজ
ঘরে অবরুদ্ধ থাকে। কেবল অল্প কয়েক
ব্যক্তি যারা এ নতুন
পরিস্থিতিকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল
না, তারা প্রতিরোধের চেষ্টা
করে, যা কোন কাজেই
আসে নি।
হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মক্কার সকল অধিবাসীর জন্যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। তিনি তাদের সকল অতীত অপরাধ ক্ষমা করে দেন। সে ছিল এক অতুলনীয় দৃশ্য। কুরাইশরা এটা যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না।
কিন্তু তারা
বুঝতে না পারলেও এ
ছিল ইসলামেরই সৌন্দর্যের আলো। আল্লাহর রাসূল
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) তাদেরকে ইসলামের
এ মহত্ব বুঝাবার চেষ্টা করছিলেন এবং তাদেরকে এর
অনুসরণের দাওয়াত দিচ্ছিলেন। এবার তারা ইসলামের
এ রূপকে নিজেদের চোখেই দেখতে পেল।
এই
সেই হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)
যাকে তারা হিজরত করতে
বাধ্য করেছিল, যাকে তারা যাদুকর,
পাগল ও ধর্মত্যাগী হিসেবে
আখ্যায়িত করেছিল। অথচ এই মুহাম্মাদ
(সাঃ) ই তাদেরকে তাদের
চরম অসহায় অবস্থায় ক্ষমা করে দিলেন।
এবার মক্কাবাসীরা নিরাপদ, শান্তিময় এবং প্রতিহিংসা ও শত্রুতা থেকে মুক্ত। প্রত্যেকেই নিজ নিজ অন্তরে শান্তি ও সুখের অধিকারী বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা। হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন তা ছিল অনন্য ও অতুলনীয়।
মক্কা
বিজয়ের মধ্য দিয়ে ইসলাম
ও তার রাসূলের (সাঃ)
মহানত্ব স্বর্ণোজ্জলভাবে প্রমাণিত ও উদ্ভাসিত হল।
এ ধরনের ক্ষমা ও অনুগ্রহের দৃষ্টান্ত
আর কোথায় মিলবে? এটা কেবল ইসলামেই
পাওয়া যায়। কারণ ইসলাম শান্তি,
সুখ ও অন্তরের প্রশান্তি
নিশ্চিত করে।
হযরত
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) অষ্টম হিজরী
সালের ৯ই
শাওয়াল
পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করেন। মক্কা বিজয়ের পর হযরত মুহাম্মাদ
(সাঃ) আল্-উয্যার মন্দির
ধ্বংসের জন্য খালিদ বিন
ওয়ালিদের
নেতৃত্বে সেনাবাহিনী পাঠান ৷ এছাড়া তায়েফ অবরোধ করা হয় এবং
হুনাইন
ও
তাবূকের
যুদ্ধ
সংঘটিত হয়।