হালাল খাবারের তালিকা
ইসলাম
আমাদের খাদ্য ও পানীয় সম্বন্ধে
বিধি-বিধান দিয়েছে। ইসলামের লক্ষ্য হচ্ছে একটি সুস্থ ও
নৈতিকতাসম্পন্ন সমাজ গঠন করা।
তাই ইসলাম সকল প্রকার স্বাস্থ্যকর
ও পবিত্র খাদ্যবস্তু ও পানীয় গ্রহণ
করার জন্য আমাদেরকে অনুমতি
দিয়েছে। কুর্ আন মজীদে
এরশাদ হয়েছে:
“হে
মানবকুল! পৃথিবীর বুকে যে হালাল
ও পবিত্র খাদ্যদ্রব্য আছে তা খাও
এবং শয়তানের পদচিহ্ন অনুসরণ করো না। নিঃসন্দেহে
সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন। ” (সূরা আল বাকারাহ-১৬৮) ইসলাম কেবল
সেই সব জিনিসকে হারাম
করেছে যা অপবিত্র ও
ক্ষতিকর।
হালাল খাবারের তালিকা গুলো নিম্নরুপঃ
- গরুর গোশত
- মাছ
- শাক সবজি
- কবুতর
- মুরগি
- খাসির গোশত
- চাল
- ডাল
- আটা
- ময়দা
সুজিসহ বিভিন্ন প্রকার খাবার সমূহ ইসলামে হালাল
ইসলাম
নিম্নলিখিত প্রাণীর (পশু ও পাখীর)
গোশত হারাম ঘোষণা করেছে:
কোন কোন
প্রাণী
খাওয়া
হারাম
- ক) মৃত প্রাণী (অর্থাৎ যেসব প্রাণী যবেহ্ করা ছাড়াই প্রাকৃতিক কারণে মৃত্যুবরণ করেছে)।
- খ) আল্লাহর নাম নেয়া ছাড়াই যেসব প্রাণী যবেহ্ করা হয়েছে।
- গ) যেসব প্রাণী শ্বাসরোধ হয়ে মারা গেছে।
- ঘ) শূকর।
- ঙ) মাংসাশী প্রাণী।
- চ) বন্য পশু যে প্রাণীকে শিকার করেছে।
- ছ) ইসলাম হালাল প্রাণীর ফিনকি দিয়ে প্রবাহিত রক্তও হারাম করেছে। (সূরা আল বাকারাহ-১৭৩)
ইসলাম প্রাণীদের জীবন রক্ষার ও তাদের প্রতি যত্নবান হবার শিক্ষা দেয়। এটা আল্লাহ্ তা'আলার বিরাট দয়া যে, তিনি মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্যে অনেক প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন। তবে এসব প্রাণীর গোশত খাওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে এই যে, এগুলোকে আল্লাহ্ তা'আলার নির্দেশিত পন্থায় যবেহ্ করতে হবে। ইসলামের নির্দেশ হচ্ছে,
এমন ধারালো ছুরি দিয়ে প্রাণীকে যবেহ্ করতে হবে যা তার ঘাড়ের মধ্য পর্যন্ত প্রবেশ করবে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রাণীটি যেন খুব তাড়াতাড়ি মারা যায় এবং তার মধ্য থেকে যত বেশী পরিমাণ সম্ভব রক্ত বেরিয়ে যায়। যবেহ্ করার সময় অবশ্যই আল্লাহর নাম নিতে হবে। কোন প্রাণীকে এ নিয়মে যবেহ্ করা না হলে তার গোশত ও অন্যান্য উপজাত হারাম হয়ে যাবে।
তাই অমুসলিম প্রধান দেশে বসবাসকারী মুসলমানদেরকে গোশত কিনে খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই মুসলমান কসাইর যবেহ্ করা গোশত কিনতে হবে যাতে তা হালাল হবার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়। কাছাকাছি মুসলমান কসাই না থাকলে যে ইয়াহুদী কসাই ইয়াহুদী ধর্মের বিধান
অনুযায়ী যবেহ্ করে তার যবেহ্
করা হালাল প্রাণীর গোশত খাওয়া যাবে।
কারণ তা মূসলমানদের জন্য
হালাল। সন্দেহজনক ক্ষেত্রে গোশত না খেয়ে
শাক- সব্জি খেতে হবে বা
হালাল মাছ খেতে হবে।
এ্যালকোহলযুক্ত
সব
ধরনের
পানীয়,
যেমন: বিয়ার, মদ, হুইস্কি, স্পিরিট
ইত্যাদি হারাম। আসলে কোন সুস্থ
সমাজেই এ্যালকোহলযুক্ত পানীয় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
কুর'আন মজীদে এরশাদ
হয়েছে:
“হে ঈমানদারগণ! নিঃসন্দেহে শরাব (মাদক পানীয়), জুয়া, প্রতিমা ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ- এসব হচ্ছে শয়তানের অপবিত্র কাজ। অতএব, এগুলো থেকে দূরে থাক যাতে তোমরা কল্যাণ লাভ করতে পার।
নিঃসন্দেহে শয়তান মাদক পানীয় ও
জুয়ার সাহায্যে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি
করতে চায় এবং তোমাদেরকে
আল্লাহর স্মরণ ও নামাজ থেকে
বিরত রাখতে চায়। অতএব, তোমরা কি (এসব থেকে)
বিরত থাকবে?” (সূরা আল-মায়িদাহ
৯০-৯১)
মাদক
পানীয় সমাজে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করে। মাদক পানীয়
পান থেকে নানা রকম
পাপকাজের উদ্ভব হয়। সুস্থ ও
শান্তিময় সমাজের নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে ইসলাম সকল পাপাচারের মূলোৎপাটন
করতে চায়। এছাড়া ইসলাম রোগের চিকিৎসায় অপরিহার্য না হলে মাদকতাযুক্ত
ওষুধ (ড্রাগ) গ্রহণকেও হারাম করেছে।
মুসলমানরা
'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (পরম দয়াময় মেহেরবান
আল্লাহর নামে) বলে খাওয়া শুরু
করে এবং নীচের দু'আ পড়ে শেষ
করেঃ
(আলাহামদু
লিল্লাহিল্লাযী আত‘আমানা ওয়া
সাকানা ওয়া জা‘আলানা
মিনাল মুসলিমীন) “সকল প্রশংসা আল্লাহর
যিনি আমাদেরকে খাদ্য দিয়েছেন, আমাদেরকে পান করিয়েছেন ও
আমাদেরকে মুসলিম বানিয়েছেন।”
হযরত মুহাম্মাদ
(সাঃ)
আমাদেরকে
ডান হাত দিয়ে খেতে
এবং খাবার আগে ও পরে
হাত ধুতে বলেছেন। পুরোপুরি
পেট ভরে না খাওয়া
উত্তম। হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
আমাদেরকে পানি বা অন্যান্য
কোমল পানীয় এক নিঃশ্বাসে না
খাবার জন্যও উপদেশ দিয়েছেন। বরং আমাদেরকে থেমে
থেমে পান করতে বলেছেন;
তিন নিঃশ্বাসে পান করাই বেশী
ভাল।
ইসলামী
জীবনব্যবস্থার দেয়া আইন-কানুন ও
বিধি-বিধানসমূহ মানুষের জন্য খুবই উপকারী।
তাই আমাদের এসব আইন-কানুন
ও বিধি-বিধান সাধ্যানুযায়ী
মেনে চলার চেষ্টা করা
উচিত। ইসলামী আইন-কানুন ও
বিধি-বিধান এড়িয়ে চলার জন্যে ছুতা
খুঁজে বের করার চেষ্টা
করা কিছুতেই উচিত নয়; বরং
আমাদের এগুলো মেনে চলার জন্যে
সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করা উচিত।
ইসলামে পোশাকের বিধান
ইসলাম আমাদের সমাজকে সুন্দর, সুশীল ও সুমহান করার জন্যে আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছে। আল্লাহ্ তা'আলা মানুষকে সব চেয়ে সুন্দর আকৃতি ও দেহকাঠামো দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি চান যে, তাঁর বান্দাহরা সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করুক।
আমাদের মনে রাখতে হবে
যে, আমরা সৃষ্টিকুলের মধ্যে
শ্রেষ্ঠতম প্রাণী এবং আমাদের পোশাক-পরিচ্ছদে তা অবশ্যই প্রতিফলিত
হওয়া উচিত। যথাযথ পোশাক-পরিচ্ছদ অসৌন্দর্য ও অনৈতিক আচরণ
প্রতিহত করে এবং আমাদের
সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধি
করে।
কুর'আন মজীদে এরশাদ
হয়েছে:
“হে
আদম-সন্তানগণ! আমি তোমাদের জন্য
পোশাক নাযিল করেছি যা তোমাদের লজ্জাস্থানকে
ঢেকে রাখে এবং যা
সৌন্দর্যের উপকরণ। আর তাকওয়ার পোশাকই
উত্তম।” (সূরা আল-আ'রাফ-২৬)
ইসলাম
আমাদেরকে কোন বিশেষ ধরনের
বা ডিজাইনের পোশাক পরার জন্যে বলেনি।
তবে পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যাপারে কতগুলো দিকনির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেঃ
পুরুষদের কম পক্ষে নাভি
থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখতে হবে।
- ১। নারীদেরকে ঘরে থাকাকালে তাদের মুখমণ্ডল বা চেহারা, হাত ও পা বাদে সারা শরীর ঢেকে রাখতে হবে। কিন্তু বাইরে বের হলে বা কোন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় (মাহ্রাম) বাদে অন্য কোন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের সাথে সাক্ষাতকালে তাদেরকে হিজাব বা পর্দাসহ সারা শরীর ঢেকে রাখতে হবে। অবশ্য কিছু সংখ্যক ফাকীহ্ (ইসলামী আকাম বিশেষজ্ঞ) পুরো চেহারা (Face) খোলা রাখাকে বৈধ বলেছেন।
- ২। নারী বা পুরুষ কেউই এমন পোশাক পরতে পারবে না যা দর্শকের মধ্যে কুপ্রবৃত্তি জাগ্রত করে। যেমন: এমন পাতলা পোশাক যার ভিতর দিয়ে শরীরের রং বা আকৃতি দেখা যায়, যে পোশাক শরীরের সাথে শক্তভাবে লেপ্টে থাকে (স্কিনটাইট) বা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আকৃতিকে ফুটিয়ে তোলে।
- ৩। পুরুষদের জন্যে পুরোপুরি রেশম (সিল্ক) কাপড়ের তৈরী পোশাক বা স্বর্ণালংকার পরিধান করা নিষিদ্ধ।
- 8। পুরুষের জন্য নারীদের পোশাক ও নারীদের জন্য পুরুষের পোশাক পরা নিষেধ।
- ৫। মুসলমানদের জন্য অন্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নিদর্শনবাহী পোশাক পরিধান করা নিষেধ।
ইসলাম
সহজ-সরল ও সাদাসিধা
চালচলন ও পোশাক-পরিচ্ছদ
এবং শালীনতাকে উৎসাহিত করে। যে সব
পোশাক-পরিচ্ছদে অহঙ্কার ও ঔদ্ধত্য প্রকাশ
পায় তাকে অপসন্দ করা
হয়েছে। পোশাকের ধরন-ধারণ বা
ডিজাইন স্থানীয় রীতিনীতি ও আবহাওয়ার ওপর
নির্ভর করে। কিন্তু সর্বাবস্থায়ই
উপরের পথনির্দেশসমূহ অনুসরণ করতে হবে।
উৎসব উদযাপনী ও স্মরণীয় দিন
অন্যান্য
ধর্মের মত ইসলামেও উদযাপনের
জন্যে কয়েকটি বিশেষ উপলক্ষ্য নির্ধারিত রয়েছে। তবে এসব উপলক্ষ্য
কেবল আনন্দলাভের জন্য নয়, বরং
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আন্তরিকতা ও
ভক্তি সহকারে উদযাপন করা হয়।
ইসলামের
উৎসবগুলো মূলতঃ একই সাথে আল্লাহর
নিকট শুকরিয়া জ্ঞাপন ও আনন্দলাভের মাধ্যম।
ইসলামের দু'টি প্রধান
বার্ষিক উৎসব হচ্ছে “ঈদুল
ফিতর ও ঈদুল আয্হা।
ঈদুল ফিতর ২০২৪:
Eid-ul-Fitr 2024
রামাদান মাস
শেষ হবার পর শাউয়াল
মাসের প্রথম দিনে 'ঈদুল ফিতর উদযাপিত
হয়। একমাস রোযা পালনের পর
মুসলমানরা এদিন জামা'আতে
‘ঈদের নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আনন্দ
ও খুশী প্রকাশ করে
থাকে। সম্ভব হলে এ নামাজ
খোলামাঠে বা “ঈদগাহে আদায়
করা হয়, নয়ত কোন
মসজিদে আদায় করা হয়।
- মূলতঃ মুসলমানরা দীর্ঘ একমাস ব্যাপী রোযা আদায়ে সক্ষম হওয়ায় এ নামাজের মাধ্যমে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ তা'আলার নিকট শুকরিয়া জানায়। মুসলিম দেশসমুহে এদিন সাধারণতঃ জাতীয় ছুটি দেয়া হয়। এদিন সকলের ঘরেই সাধ্যমত ভাল ভাল খানাপিনা তৈরী করা হয় এবং বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনেরা পরস্পরের সাথে দেখা-সাক্ষাত করে ও আপ্যায়ন করে। তাছাড়া ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে 'ঈদ উপলক্ষ্যে উপহার দেয়া হয়। এদিন সাধারণতঃ সকল মুসলমানই সাধ্যমত নিজ নিজ ভাল পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করে।
ঈদুল আযহা ২০২৪
Eid-ul-Azha 2024
যিলহজ্জ মাসের দশম তারিখ হচ্ছে ‘ঈদুল আয্হা। এদিন পশু কুরবানী করা হয়। এর পরবর্তী তিন দিনও পশু কুরবানী করা যায়; এ তিনদিনকে আইয়ামুত্ তাশ্রীক বলা হয়। হযরত ইবরাহীম (আঃ) আল্লাহ্ তা'আলার নির্দেশে তাঁর পুত্র হযরত ইসমাঈল (আঃ) কে কুরবানী করার জন্যে প্রস্তুত হয়েছিলেন।
আল্লাহ্ তা'আলা হযরত
ইবরাহীম (আঃ)-এর আন্তরিকতায়
সন্তুষ্ট হন এবং হযরত
ইসমা'ঈল (আঃ)-এর
পরিবর্তে একটি দুম্বা কুরবানী
করার নির্দেশ দেন। এ ঘটনার
স্মরণেই ‘ঈদুল আয্হা উদযাপিত
হয়।
প্রতি বছর হাজ্জের পর ঈদুল আযহা সমুপস্থিত হয়। সারা বিশ্বের মুসলমানরা 'ঈদুল ফিরের নামাজের ন্যায় জামা'আতে 'ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ‘ঈদুল আযহা উদযাপন শুরু করে। নামাজের পরে স্বচ্ছল মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, গরু বা উট কুরবানী করে।
কুরবানীর গোশত
যেমন কুরবানীদাতা ও তার পরিবারের
সদস্যরা খায় তেমনি তা
থেকে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও গরীব লোকদের
মধ্যে বিতরণ করে।
কুরবানীর
মাধ্যমে একজন মুসলমান তার
অন্তরের এই অনুভূতিকে প্রকাশ
করে যে, প্রয়োজনে তার
প্রিয় ধনসম্পদ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে তাঁর রাস্তায় কুরবানী
(ব্যয় বা দান) করবে।
এটাই হচ্ছে ‘ঈদুল আযহার শিক্ষা।
আমাদের
মনে রাখতে হবে, আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের নিকট
থেকে কুরবানীর পশু বা তার
গোশত বা রক্ত চান
না। বরং তিনি চান
আমাদের আন্তরিকতা ও তাঁর হুকুমের
প্রতি আনুগত্য। (সূরা আল-হাজ্জ-37)
ইসলামের
অন্যান্য উদযাপনী উপলক্ষ্যগুলো হচ্ছে
লাইলাতুল
কদর সম্পর্কে হাদিস, লাইলাতুল ক্বদর,
(কদরের
রাত-
২৭শে
রামাযানের
পূর্বরাত)
ও
'আরাফাহ
দিবস
(৯ই
যুলহিজ্জাহ)।
এছাড়া
রয়েছে
'আশূরার
দিন
(১০ই
মুহার্রাম)।
প্রতি
শুক্রবার যে ছালাতুল জুমু'আহ আদায় করা
হয় তা-ও মুসলমানদের
জন্য একটি সাপ্তাহিক উৎসবদিবস
হিসেবে পরিগণিত হয়। কারণ এ
দিন তারা ব্যাপকভাবে একত্রিত
হয় এবং খুৎবাহ শোনে
ও জামা'আতে নামাজ
আদায় করে।
ইসলামী
উপলক্ষ্যগুলো ইসলামী চান্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী উদযাপন করা হয়। চান্দ্র
বর্ষ সৌর বর্ষের তুলনায়
প্রায় এগার দিন ছোট।
নতুন চাঁদ দেখে চান্দ্র
মাসের প্রথম দিন নির্ণয় করে
তার ভিত্তিতে হিসাব করে এসব উপলক্ষ্যের
দিন নির্ধারণ করা হয়।
অবশেষেঃ
- বস্তুতঃ একজন নিষ্ঠাবান দ্বীনদার মুসলমান যখন আজকের বিশ্বে অন্যায়-অনাচার, বেইনসাফী, অবিচার, বৈষম্য ও জুলুম-অত্যাচার-নির্যাতন দেখতে পায় তখন সে নিজেকে খুবই অসুখী অনুভব করে, মনে কষ্ট পায়। বিশ্বের অনেক জায়গার মুসলমানদের ওপর খারাপ নেতৃত্ব চেপে বসে আছে এবং তারা ক্ষুধা-দারিদ্রের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছে।
- বিশ্বের অন্য অনেক অংশের মুসলমানরা কেবল মুসলমান হবার কারণেই নির্যাতিত ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। তাই এমন কি আনন্দ-উৎসবের দিনেও মুসলমানরা যখন তাদের তুলনায় হতভাগ্য ঐসব মুসলমানদের কথা মনে করে তখন তারা অন্তরে দুঃখ অনুভব করে।
যেসব দেশে মুসলমানরা সংখ্যালঘু সেসব দেশে অনেক সময় চাঁদ দেখা নিয়ে বিতর্কের কারণে বিভিন্ন দিনে ঈদ উদযাপিত হয়। কিন্তু মুসলমানরা যদি একত্রে ‘ঈদ উদযাপন করতে না পারে তাহলে তাদের মধ্যে ঐক্যের প্রতিফলন ঘটে না।
তাই
এ অবাঞ্ছিত সমস্যার সমাধানের জন্যে মুসলমানদের সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ তা'আলার নিকট
সাহায্য চেয়ে দু'আ করা
দরকার। কারণ আল্লাহ্ তা'আলার দয়া ও
রহমত নাযিল হলে সমাজে সুখ-শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে এবং মুসলমানরা
যথার্থভাবে তাদের উৎসবের দিনগুলো উদযাপন করতে পারবে যা
তাদেরকে সুখী ও আনন্দিত
করবে।
পোস্ট ট্যাগ