ইসলামে নারীর অধিকার
ইসলামে নারীর অধিকার ও কর্তব্য
১।
তাওহীদে বিশ্বাস
পোষণ করা ও ইসলাম
অনুযায়ী আমল করাই হবে
তার প্রথম কর্তব্য।
২। একজন মুসলিম নারীকে অবশ্যই নামাজ আদায় করতে হবে, ছাওম পালন করতে হবে, তার নিজ সম্পদের যাকাত দিতে হবে (যদি প্রযোজ্য হয়) এবং সামর্থ্য থাকলে হাজ্জ করতে হবে। তার হায়েয (মাসিক ঋতুস্রাব) চলাকালে তাকে নামাজ আদায় থেকে রেহাই দেয়া হয়েছে এবং
ঐ সময়কার
ছাওম পরে পূরণ করতে
হবে। ছালাতুল জুমু'আহকে তার
জন্যে ঐচ্ছিক করা হয়েছে। তাকে
সব সময় তার সতীত্ব
রক্ষা করতে হবে। সে
কারো সাথে কোন বিবাহবহির্ভূত
সম্পর্ক রাখবে না। পুরুষের জন্যেও
একই হুকুম।
৩।
ইসলামের বিধিবিধান অনুযায়ী সন্তানদের লালন-পালন করা
তার কর্তব্য। তাকে পরিবারের দেখাশোনা
করতে হবে এবং পরিবারের
আভ্যন্তরীণ বিষয়াদিতে তার প্রায় পূর্ণ
নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, যদিও পারস্পরিক আলোচনা
ও সহযোগিতার মাধ্যমে পরিবার পরিচালিত হয়ে থাকে। সে
হচ্ছে পরিবারের রাণী এবং গার্হস্থ্য
বিষয়াদির ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার)।
৪
৷ সে যখন বাইরে যাবে এবং তার
ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন বাদে অন্য প্রাপ্তবয়স্ক
পুরুষদের সাথে সাক্ষাত করবে
তখন অবশ্যই তাকে ভদ্র পোশাক
ও হিজাব পরিধান করতে হবে। (সূরাহ
আল- আহযাব ৫৯)। সে
পুরুষের পোশাক পরতে পারবে না।
৫
৷ সে তার স্বামীর
সাহায্যকারিনী। একজন বিশ্বস্ত স্ত্রী
একটি পোশাকের মত; সে তার
স্বামীর জন্যে শান্তি, ভালবাসা, সুখ ও পরিতৃপ্তির
উৎস। (সূরাহ আর-রূম- ২১)
৬।
তাকে যদি আল্লাহর হুকুম
অমান্য করতে বলা হয়
তাহলে সে অবশ্যই তার
স্বামী, পিতা বা ভাইয়ের
এ ধরনের আদেশ অমান্য করবে।
(সূরাহ আত্-তাওবাহ-২৩)
৭।
তার কাছ থেকে আশা
করা হয় যে, সে
তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্বামীর ধন- সম্পদ- ও
উপায়-উপকরণের হেফাযত করবে।
ইসলাম
একজন স্বামী ও একজন স্ত্রীকে
পরস্পরের পরিপূরক বলে মনে করে।
দু'জনের কেউ কারো
ওপরে আধিপত্য বিস্তার করে না। উভয়েরই
নিজ নিজ অধিকার ও
কর্তব্য রয়েছে। তারা উভয় মিলে
একটি সুখশান্তিতে ভরা পরিবার গঠন
করে। আর এ ধরনের
পরিবারই সুস্থ, স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজের
প্রাণ বা কেন্দ্রবিন্দু স্বরূপ।
ইসলামে
নারী ও পুরুষ পুরোপুরি
সমান নয়। আল্লাহর বান্দাহ্
হিসাবে তারা আল্লাহর নিকট
সমান মর্যাদার অধিকারী। তাদের স্বতন্ত্র শারীরিক ও জৈবিক বৈশিষ্ট্য
রয়েছে। ইসলাম নারীর ওপরে পুরুষের নেতৃত্ব
স্বীকার করে (সূরাহ আন্-নিসা’-৩৪)। কিন্তু
এর মানে আধিপত্য বা
নিয়ন্ত্রণ নয়।
গড়ে সাধারণতঃ নারীর তুলনায় পুরুষ অধিকতর শক্তিশালী, ওজনে ভারী ও বেশী লম্বা। নারী গর্ভবতী হতে ও সন্তান জন্ম দিতে পারে, কিন্তু পুরুষ তা পারে না।
নারী সাধারণতঃ সংবেদনশীল, আবেগপ্রবণ ও স্নেহমমতার অধিকারী।
অন্যদিকে পুরুষ তুলনামূলকভাবে কম আবেগপ্রবণ। আল্লাহ্
তা'আলা নারী ও
পুরুষকে ভিন্ন ভিন্ন গুণাবলী দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে আশা
করা হয় যে, তারা
একটি সুখী পরিবার গঠনের
লক্ষ্যে পরস্পরকে ভালবাসবে এবং সাহায্য-সহায়তা
করবে।
মানবজাতির
সমগ্র ইতিহাসে কখনোই নারী ও পুরুষকে
সমান গণ্য করা হয়
নি। ইসলাম নারীকে তার সঠিক মর্যাদা
দিয়েছে এবং এ ব্যাপারে
ঐশী বিধান লঙ্ঘনের চেষ্টা করে নি। অন্যান্য
ধর্ম ও দর্শন নারীর
সঠিক ও যথাযথ ভূমিকা
নির্ণয়ে ব্যর্থ হয়েছে।
পাশ্চাত্যে
নারীকে ভোগ ও শখের
উপকরণে- প্রায় খেলনায় পরিণত করা হয়েছে। আধুনিক
যুগে নারীরা প্রকৃত বা কাল্পনিক সমতার
জন্যে, সম্ভবতঃ অজ্ঞাতসারে, নিজেদের মর্যাদা হারাবার প্রবণতায় আক্রান্ত হয়েছে। স্বাধীনতা ও সমতার শ্লোগান
কাৰ্যতঃ তাদেরকে খেলার পণ্যে পরিণত করেছে। অথচ তারা না
স্বাধীনতা পেয়েছে, না পূর্ণ সমতা
অর্জন করতে পেরেছে। বরং
তারা তাদের গৃহের স্বাভাবিক স্থান হারিয়েছে।
এভাবে পাশ্চাত্য সমাজে প্রাকৃতিক ভারসাম্য, সুবিচার ও পারস্পরিক সহযোগিতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যে এর পরিণতি হয়েছে ভয়াবহ। তাই পরিবারের স্বাভাবিক শান্তি পুনর্বহাল করা অপরিহার্য।
মুসলিম বিবাহ
আইন
ইসলাম বাস্তব জীবনে অনুসরণীয় একটি জীবনবিধান। ইসলাম মানবজীবনের সকল সমস্যারই সমাধান দিতে পারে। ইসলাম শর্তসাপেক্ষে বহুবিবাহের অনুমতি দেয়। এসব শর্ত পালন করে একজন পুরুষ লোক একই সময়ে সর্বোচ্চ চারজন নারীর সাথে বিবাহিত জীবন যাপন করতে পারে।
তবে
সাধারণভাবে মুসলমানদের মধ্যে একবিবাহ প্রচলিত রয়েছে অর্থাৎ একজন পুরুষ একই
সময় একজন স্ত্রী নিয়ে
জীবন যাপন করে। মুসলিম
সমাজে বহুবিবাহ মোটামুটিভাবে একটি ব্যতিক্রম। বহুবিবাহের
ক্ষেত্রে ইসলাম অত্যন্ত কঠোর শর্ত আরোপ
করেছে। কুর'আন মজীদে
এরশাদ হয়েছে:
“আর তোমরা যদি ভয় কর যে, এতিমদের ব্যাপারে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে পারবে না তাহলে নারীদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে ভাল মনে হয় এমন দুই, তিন বা চারজনকে বিবাহ করে নাও।
আর
যদি আশঙ্কা কর যে, (তাদের
সাথে আচরণের ক্ষেত্রে) ন্যায়নীতি ও ভারসাম্য বজায়
রাখতে পারবে না তাহলে শুধু
একজন নারী বা তোমাদের
অধিকারভুক্ত ক্রীতদাসীদেরকে বিবাহ কর); এতেই তোমাদের
অবিচার বা পক্ষপাতিত্বে জড়িয়ে
না পড়ার অধিকতর সম্ভাবনা” (সূরা আন্-নিসা'-৩)।
এ
আয়াতে মানুষকে এ নছিহত করা
হয়েছে যে, একাধিক স্ত্রী
গ্রহণ করলে সে যেন
সব স্ত্রীর সাথে সমান আচরণ
ও সুবিচার করে। যদি তা
না করতে পারে তবে
যেন একজন নারীকেই বিবাহ
করে। আল্লাহ্ তা'আলা কুর'আন মজীদের অন্য
এক আয়াতে এরশাদ করেন:
“তোমরা
কখনোই স্ত্রীদের মধ্যে ন্যায়নীতি ও ভারসাম্য বজায়
রাখতে পারবে না, যদিও তোমরা
তা আকাঙ্ক্ষা কর। অতএব, এমনভাবে
একদিকে ঝুঁকো পড়ো না যে,
একজনকে দোদুল্যমান অবস্থায় (অনিশ্চিত অবস্থায়) ফেলে রাখবে। আর
তোমরা যদি (নিজেদেরকে) শুধরে
নাও (বা সমঝোতা কর)
ও আল্লাহকে ভয় কর, তো
(জেনে রেখো,) আল্লাহ্ ক্ষমাশীল মেহেরবান” (সূরা আন্-নিসা'
১২৯)।
এখানেও
আবার সদাচরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ
করা হয়েছে। কিন্তু বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে ইসলাম বহুবিবাহের অনুমতি দিয়েছে। এসব পরিস্থিতি হচ্ছে:
১।
যখন একজন স্ত্রী বন্ধ্যা-
তার সন্তান ধারণের ক্ষমতা নেই, কিন্তু স্বামী
সন্তান চায়। এক্ষেত্রে বন্ধ্যা স্ত্রীকে তালাক দেয়ার চেয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণ করাই অধিকতর উত্তম।
অবশ্য এক্ষেত্রে স্বামীর দ্বিতীয় বিবাহের যুক্তিতে বন্ধ্যা স্ত্রী চাইলে তার স্বামীর কাছ
থেকে তালাক নিতে পারে।
২। স্ত্রী যদি এমন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় যে, তার পক্ষে দাম্পত্য জীবনের দায়িত্ব পালন ও গার্হস্থ্য কর্ম সম্পাদন সম্ভব না হয় তাহলে সে আরেকজন নারীকে বিবাহ করতে ও এর মাধ্যমে পরিবারিক স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
বহুবিবাহকে
সেই সমাজের সামাজিক সমস্যার সমাধান বলে গণ্য করা
যেতে পারে যেখানে পুরুষের
তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশী। বিশেষ করে যুদ্ধের পরে
এ অবস্থা দেখা দিতে পারে।
কুর'আন মজীদের যে
আয়াতে একাধিক বিবাহের অনুমতি দেয়া হয়েছে তা উহুদ যুদ্ধের
পরে নাযিল হয়। ঐ যুদ্ধে
বহু পুরুষ মুসলমান শহীদ হয়েছিলেন।
৩। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোতে ঐ দু'টি যুদ্ধের পর পুরুষের অনুপাতে নারীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে সৃষ্ট সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে, যেসব পুরুষের পক্ষে একাধিক বিবাহ করা এবং স্ত্রীদের মধ্যে ন্যায়নীতি ও ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব তারা একাধিক নারীকে বিবাহ করবে।
বিরাট সংখ্যক নারীকে অবিবাহিতা বা স্বামীহীন অবস্থায় ফেলে রাখার পরিবর্তে এটাই উত্তম। ইসলাম বিবাহবহির্ভূত যে কোন ধরনের যৌন সম্পর্ককে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। ইসলামী সমাজে রক্ষিতা বা উপপত্নী রাখার কোন বিধান নেই। ইসলাম নারীদেরকে বিবাহের মাধ্যমে মর্যাদাপূর্ণ
জীবনের নিশ্চয়তা দিয়েছে এবং লোভী ও
স্বার্থপর পুরুষদের দ্বারা শোষিত হওয়া থেকে তাদেরকে রক্ষা
করেছে। অন্যদিকে পুরুষদের জন্যে ও অনেকগুলো রক্ষিতা
বা উপপত্নী রাখার চেয়ে একাধিক স্ত্রীর অধিকারী হওয়া অধিকতর মর্যাদার ব্যাপার।
ইসলাম
প্রতিটি মানুষকেই তার কাজকর্মের জন্যে
দায়ী গণ্য করে। কেউ
একাধিক নারীকে ভোগ করবে অথচ
স্বামী ও পিতার দায়িত্ব
এড়িয়ে যাবে এটা চলতে
দেয়া যায় না। কারণ
এটা অমানবিক ও অন্যায়।
বহু বিবাহের কুফল
একটি আদর্শ ইসলামী সমাজে শুধু মা-কেন্দ্রিক পরিবার বা অবৈধ সন্তান থাকতে পারে না। কেবল দায়িত্বহীন সাংস্কৃতিক পরিবেশ ও নিয়ন্ত্রণহীন অবাধ মেলামেশার সমাজেই এটা সম্ভব হয়ে থাকে। যে নারী কোন পুরুষের দ্বিতীয়া স্ত্রী হতে যাচ্ছে সে ঐ পুরুষটির ইতিমধ্যেই একজন স্ত্রী থাকায় তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে।
কিন্তু কোন নারী যদি
তার স্বামীকে স্বেচ্ছায় দ্বিতীয় বিবাহের অনুমতি দেয় এবং এই
দ্বিতীয় স্ত্রীও লোকটির প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তাকে
বিবাহ করতে রাযী হয়
তাহলে এতে অন্য লোকদের
আপত্তি করার পিছনে কি
যুক্তি থাকতে পারে?
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যক মুসলমানই একবিবাহ করে থাকে। অর্থাৎ একজন পুরুষের একজনই স্ত্রী। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে এই যে, খুবই অল্প সংখ্যক মুসলিম পুরুষের একাধিক স্ত্রী রয়েছে। অথচ একেই ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচারের জন্যে ছুতা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আর এ ধরনের
প্রচারণা ইসলামী জীবনব্যবস্থা সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ধারণা তৈরী করতে পারে।
বিশেষ করে যে সব
মুসলমান ইসলাম অনুযায়ী আমল করে না
এ ধরনের অপপ্রচারে তাদের দৃষ্টান্তকেই বেশী গুরুত্ব দেয়া
হয়।
একই
সাথে এক স্বামীর একাধিক
স্ত্রী থাকার বিপরীতে এক স্ত্রীর একাধিক
স্বামী থাকার (Polyandry) কথা উঠতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বলতে হয় যে, একই সাথে এক স্ত্রীর একাধিক স্বামী থাকার ধারণাটি একেবারেই অবাস্তব। এর ফলে কোন সমস্যার সমাধান তো সম্ভবই নয়, বরং বহু সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
যেমনঃ এক্ষেত্রে পিতৃত্ব চিহ্নিত করা যাবে কিভাবে?
কোন্ স্বামী সন্তানের পিতৃত্ব দাবী করবে? এক্ষেত্রে
উত্তরাধিকারই বা কিভাবে নির্ণয়
করা হবে? একই সাথে
এক স্ত্রীর একাধিক স্বামীর ধারণায় এসব প্রশ্নের কোন
জবাব নেই।
এছাড়া
একজন পুরুষের পক্ষে একাধিক স্ত্রীর সাথে বসবাস করা
ও তাদের সকলের কাছ থেকে সন্তান
লাভ সম্ভবপর। কিন্তু একজন নারীর পক্ষে
একাধিক স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখা প্রায় অসম্ভব
বলে মনে হয়। একজন
নারী একই সময় কেবল
একজন স্বামীর কাছ থেকেই সন্তান
গ্রহণ করতে পারে। ইসলামে
একজন স্ত্রীর একই সময় একাধিক
স্বামী থাকা পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
ইসলাম শিক্ষা
ইসলাম
হচ্ছে বাস্তব জীবনে অনুসরণীয় একটি জীবনব্যবস্থা। ইসলাম
বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার দাবীকে
স্বীকৃতি দিয়েছে। এ ছাড়া ইসলাম
মানুষের প্রবণতাসমূহের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ
করেছে ও ভারসাম্য নিশ্চিত
করেছে। ইসলামী জীবনব্যবস্থায় জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পরিচয়
পাওয়া যায়। এ জীবনব্যবস্থা পুরোপুরি
বিজ্ঞানভিত্তিক, ন্যায় ও যুক্তিসঙ্গত।
সর্বজ্ঞ আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের জন্যে সর্বোত্তম বিধিবিধান দিয়েছেন। তাই ইসলাম সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আমাদের মধ্যে হীনমন্যতাবোধ থাকা উচিত নয়।
ইসলাম সমস্ত সমস্যার সর্বোত্তম সমাধান দিয়েছে। আমরা যদি সে
সম্পর্কে না জানি বা
তা বুঝতে ব্যর্থ হই সে জন্যে
আমরা ইসলামকে দোষারোপ করতে পারি না।
আমাদের উচিত পুরো ইসলামের
প্রতি দৃষ্টি দেয়া, তার অংশবিশেষের প্রতি
নয়। কারণ ইসলাম মানুষের
জীবনকে একটি অবিভাজ্য একক
বিষয় হিসেবে দেখে এবং একে
বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে
না।
মানবজীবনের
সবগুলো ক্ষেত্রই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। নারীর মর্যাদা, বিবাহ ও পারিবারিক জীবন
হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী জীবনব্যবস্থার পৃথক পৃথক অপরিহার্য
দিক। ইসলামকে গ্রহণ করলে পুরোপুরি গ্রহণ
করতে হবে। এ থেকে
বেছে বেছে কিছু বিষয়
গ্রহণের কোন সুযোগ নেই।
পোস্ট ট্যাগঃ