যোহরের নামাজ কয় রাকাত
মুসলমানদের জীবনে নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে, সেটা হচ্ছে মসজিদ, যা আধ্যাত্মিক সান্ত্বনা প্রদান করে এবং তাদের আল্লাহপাকের সাথে সংযোগ স্থাপনের একটি মাধ্যম। ইসলাম ধর্মে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, যার মধ্যে একটি হল যোহরের নামাজ, যা জোহরের নামাজ নামেও পরিচিত। এই ইবাদতটি সঠিকভাবে পালন করার জন্য প্রতিটি নামাজে রাকাত সংখ্যা বোঝা অপরিহার্য। এই প্রবন্ধে, আমরা যোহরের নামাজ কয় রাকাত তার বিস্তারিত আলোচনা করব।
যোহরের নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয়
যোহরের নামায মধ্যাহ্নে আদায় করা হয়, সূর্য তার শীর্ষস্থান অতিক্রম করার পরে। এটি বিশেষ তাৎপর্য রাখে কারণ এটি একটি বাধ্যতামূলক নামাজ যা মুসলমানগণ প্রতিদিন আদায় করে থাকে। যোহরের সালাত চার রাকাত। তার মধ্যে ৪ রাকাত সুন্নাত, ৪ রাকাত ফরজ ও ২ রাকাত সুন্নাত। সর্বমোট ১০ রাকাত।
যোহরের নামাজ কয় রাকাত ও কি কিঃ
যোহরের
নামায পড়তে হলে নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে
চার রাকাত পড়তে হবে;
প্রথম রাকাত: “আমি কাবার দিকে মুখ করে যোহরের নামাযের চার রাকাত আদায় করতে চাই” এই নিয়তে নামায শুরু করার পর নামাযী তাদের কানের সমতলে হাত তুলে “আল্লাহু আকবার” আল্লাহু আকবার বলে (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) নামাজ শুরু করা। এর পরে, আল কোরানের প্রথম সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করে এবং কোরানের অন্য একটি সূরা পাঠ করতে হয়। প্রথম রাকাত শেষ হয় নামাযী রুক'আত করে এবং তারপর আবার সোজা হয়ে দাঁড়ায়।
দ্বিতীয়
রাকাতঃ প্রথম রাকাত শেষ করার পর
নামাযী ‘আল্লাহু আকবার’ বলে দ্বিতীয় রাকাত
শুরু করে। প্রথম রাকাতের
অনুরূপ, নামাজীগণ আল-ফাতিহা পাঠ
করে, তারপরে কুরআনের অন্য একটি সূরা
পড়ে নামাজ আদায় করে। অতঃপর নামাজীগণ
রুক'আত করে সোজা
হয়ে দাঁড়ায়।
তৃতীয়
রাকাত: দ্বিতীয় রাকাতের পরে, নামাযী "আল্লাহু
আকবার" বলে এবং তৃতীয়
রাকাত শুরু করে। আবার,
নামাজীগণ আল-ফাতিহা পাঠ
করে, রুকু আদায় করা
হয় এবং নামাজীগণ সোজা
হয়ে দাঁড়ায়।
চতুর্থ
রাকাত: তৃতীয় রাকাত শেষ করার পর,
নামাযী "আল্লাহু আকবার" বলে এবং যোহরের
নামাযের চতুর্থ এবং শেষ রাকাত
শুরু করে। আল-ফাতিহা
পাঠ করা হয়, অবশেষে,
নামাজীগণ রুক'আত করে
এবং সোজা হয়ে দাঁড়ায়।
তারপর সেজদা করে তাশাহুদ পাঠ, দরুদ এবং দোয়া মাসূরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করে
থাকেন।
উপসংহার:
যোহরের
নামায হল ইসলামের একটি
অপরিহার্য ইবাদত, যা সূর্যের শীর্ষস্থান
অতিক্রম করার পর মধ্যাহ্নে
সম্পাদিত হয়। এটি চার
রাকাত নিয়ে গঠিত, প্রতিটিতে কুরআন থেকে তেলাওয়াত এবং
নির্দিষ্ট শারীরিক রুকু সিজদাহ রয়েছে। নির্ধারিত সংখ্যক রাকাত পালন করে এবং
নামাজের সঠিক পদ্ধতি মেনে
চলার মাধ্যমে, মুসলমানরা আল্লাহর সাথে তাদের সংযোগ
জোরদার করার এবং তাদের
আধ্যাত্মিক প্রশান্তি খুঁজে পেতে চেষ্টা করে।
মনে
রাখবেন, নামাজ নিছক বাহ্যিক অভ্যাস
নয়, বরং অভ্যন্তরীণ শান্তি
এবং আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্ক
অর্জনের একটি মাধ্যম। আমাদের
নামাজ দিকনির্দেশনা এবং আশীর্বাদের উত্স
হতে পারে, আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে এবং আধ্যাত্মিক
সুস্থতার বোধ জাগিয়ে তোলে।
দুনিয়া এবং আখিরাতের কল্যাণকামী হওয়া যায় নামাজের মাধ্যমে।
পোস্ট ট্যাগঃ