নবীজির দোয়া সমূহ
নবীজির দোয়া সমূহ
“হে
আল্লাহ, আমি জাহান্নামের আগুনে
নিক্ষেপকারী গুমরাহী ও জাহান্নামের শাস্তি
থেকে, কবরের পরীক্ষা ও কবরের শাস্তি
থেকে, সম্পদের পরীক্ষার খারাপ দিক থেকে, দারিদ্র
ও অনাহারের পরীক্ষা থেকে তোমার কাছে
আশ্রয় চাচ্ছি। হে আল্লাহ, আমি
মসীহে দাজ্জালের বিপদ থেকে তোমার
কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।
হে
আল্লাহ, আমার আন্তরকে বরফ
ও মেঘের পানি দিয়ে ধুয়ে
দাও; আর আমার অন্তরকে
গুনাহখাতা থেকে পরিষ্কার করে
দাও, যেমন তুমি সাদা
কাপড়কে ময়লা মাটি থেকে পবিত্র
করে দিয়ে থাকো। আর তুমি পূর্ব
ও পশ্চিমের মধ্যে যত দূরত্ব আমার
ও গুণাহের মধ্যে তত দূরত্ব করে
সৃষ্টি করে দাও।
হে
আল্লাহ, আমি ইবাদত ও
অন্যান্য দ্বীনি কাজে অলসতা ও
ক্লান্তি থেকে, ঋণগ্রস্ত হওয়ার ক্ষতি থেকে তোমার কাছে
আশ্রয় চাচ্ছি।” (বোখারী ও মুসলিম)
- ব্যাখ্যাঃ কবরের পরীক্ষার অর্থ হলো, আল্লাহ, দ্বীন ও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে কবরে যা জিজ্ঞেস করা হবে তা এক কঠিন পরীক্ষা এবং তাতে মানুষ ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। এ ব্যর্থতা থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। কেউ সম্পদশালী হলে হয় সে আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দারূপে জীবন ধারণ করে ও দরিদ্রকে সাহায্য করে; অথবা অহংকারী হয়ে পড়ে, গরীবদের কোন উপকার করে না ও অন্যকে নিজের তুলনায় নীচ বলে মনে করে।
- এই শেষ অবস্থাটি সম্পদশালী হওয়ার খারাপ দিক যা থেকে আশ্রয় চাওয়া উচিত। দরিদ্রও হল এক পরীক্ষা যার খারাপ দিক হলো, মানুষ নিজের দ্বীন ও ঈমান বিক্রী করে দেয়, আল্লাহ সম্পর্কে খারাপ ধারণা করে ও বান্দার সামনে আল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। দারিদ্রতার এই খারাপ দিক থেকেও আশ্রয় চাওয়া উচিত।
স্বরণ ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ
হযরত
আবু মূসা আশ'আরী
রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী করীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বলেছেন, তিনি এই দোয়া
পড়তেন, 'হে আমার প্রভু,
আমার যত গুণাখাতা আছে
সব ক্ষমা করে দাও। আমার
যত অজ্ঞতা আর ত্রুটি-বিচ্যুতি
হয়েছে, তুমি তাও ক্ষমা
করে দাও। আমার যে
সব গুণাহ সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান
নাই অথচ তুমি তা
ভাল জান, হে আল্লাহ
তুমি তাও ক্ষমা করেদাও।
হে
আল্লাহ, আমি জেনে শুনে
যে সব গুণাহ করেছি
বা আবেগ ও উত্তেজনার
বশবর্তী হয়ে যে সব
গুণাহ করে ফেলেছি এবং
আমোদ-প্রমোদ করতে গিয়ে যে
সব গুণাহ করে ফেলেছি, সব
গুণাহই তুমি মাফ করে
দাও। যে সব পাপ
আমি করে ফেলেছি (আল্লাহ,
সব পাপের জন্যই আমি তোমার করুণা
প্রার্থী)।
হে
আমার আল্লাহ, আমার আগের ও
পিছনের সমস্ত গুণাহখাতা তুমি মার্জনা করো।
আমার গোপন ও প্রকাশ্য
সমস্ত গুণাহ ক্ষমা করে দাও। তুমিই
আপন বান্দাকে অগ্রবর্তী ও পশ্চাত্বর্তী করার
মালিক এবং তুমিই সব
কিছুর উপর কর্তৃত্বশীল।” (বোখারী)
হযরত
আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু
আনহু কর্তৃক বর্ণিত, “তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, 'আমাকে এমন কোন দোয়া
শিক্ষা দিন যা আমি
আমার নামাযের মধ্যে (আত্তাহিয়্যাত ও দরুদের পরে)
পড়বো।'
তিনি
বললেন, 'তুমি এই দোয়া
পড়বে, 'হে আল্লাহ, আমি
নিজের উপর সীমাহীন অত্যাচার
করেছি। তুমি ছাড়া তো
আমাকে মাফ করার আর
কেউ নেই। তুমি আপন
অনুগ্রহ ও রহমতে আমার
সমস্ত গুণাহখাতা মাফ করে দাও।
হে আল্লাহ, তুমি আমার উপর
দয়া করো, নিঃসন্দেহে তুমি
অতিশয় ক্ষমাকারী ও দয়াময়।” (বোখারী
ও মুসলিম)
“হে
আল্লাহ, তুমি আমার দ্বীনকে
শুদ্ধ করে দাও, যা
আমার সমস্ত কাজকর্ম ও বিষয়াদির রক্ষাকারী।
আমার দুনিয়াকে তুমি ঠিক করে
দাও, যার মধ্যে আমি
জীবন যাপন করছি। আমার
আখিরাতকে তুমি সহি-শুদ্ধ
করে দাও, যেখানে আমাকে
ফিরে যেতে হবে। আমার
পার্থিব জীবনকে আমার কল্যাণ ও
মঙ্গলের নিয়ামক বানিয়ে দাও। আর আমার
মৃত্যুকে আমার জন্য সমস্ত
অমঙ্গল থেকে পরিত্রাণের উপায়
করে দাও। (তারগীব ও তারহীব)
“হে আল্লাহ,
আমি দ্বীনের উপর
অটল অনড়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকার জন্যে তোমার কাছে শক্তি প্রার্থনা
করছি। তোমার কাছে আরো প্রার্থনা
করছি, তুমি আমাকে হেদায়াত
ও সরল রাস্তায় চলার
দৃঢ় সংকল্প ও তাওফিক দান
করো। তোমার কাছে আমি এও
প্রার্থনা করছি, তুমি আমাকে তোমার
নিয়ামতের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের তাওফিক দান করো এবং
আমি যেন সুন্দর ও
সুস্থভাবে তোমার ইবাদত করতে পারি সে
তাওফিকও দাও।
আমি
তোমার কাছে সত্য বলার
মত জবান ও মন্দ
ভাব ও ভাবনা বর্জিত
পবিত্র অন্তরের জন্য প্রার্থনা করছি।
আমি সে সব জিনিসের
অনিষ্ট থেকে তোমার আশ্রয়
প্রার্থনা করছি, যা তুমিই ভালভাবে
জান। আমি তোমার কাছে
প্রতিটি জিনিস থেকে মঙ্গল প্রার্থনা
করছি, যা কেবল তুমিই
জান। আর আমি তোমার
কাছে সে সব পাপের
জন্যও ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যা তুমি জেনে
গেছো। নিঃসন্দেহে প্রতিটি গোপন বিষয় সম্পর্কে
তুমি সম্যক অবগত।” (তারগীব ও তারহীব)
“হে
আল্লাহ, আমি তোমার কাছে
এমন ঈমান কামনা করছি,
যে ঈমান আমাকে সকল
বিপদাপদ ও মুসিবতে তোমার
পথে অটল থাকতে শক্তি
জোগাবে এই কারণে, আমি
দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করবো, এ বিপদ তোমার
তরফ থেকে নির্ধারিত ছিল
বলেই এসেছে। আমার জন্য যে
জীবিকা তুমি নির্দিষ্ট করে
দিয়েছো তাতেই আমাকে সন্তুষ্ট থাকার তাওফিক দান করো।” (অর্থাৎ
অধিক সম্পদ সঞ্চয় করার লোভ থেকে
আমাকে রক্ষা করো।) (তারগীব ও তারহীব)
“হে
আল্লাহ, তুমি আমাকে সর্বাবস্থায়
ইসলামের সঙ্গে ওৎপ্রোতভাবে জড়িয়ে রেখো। যখন আমি দাঁড়িয়ে
থাকি বা যখন আমি
বসে থাকি বা যখন
আমি শায়িত থাকি সব অবস্থাতেই।
কোন শত্রুকে বা কোন পরশ্রীকাতরকে
আমাকে বিদ্রুপ করার সুযোগ দান
করো না।” (তারগীব ও তারহীব)
- ব্যাখ্যাঃ অর্থাৎ সর্ব অবস্থায় আমি যেন তোমার আনুগত্যের রাস্তায় চলতে থাকি। যেহেতু শয়তান ও প্রবৃত্তি এ রাস্তা থেকে বিচ্যুত করতে চায়, সে জন্যে তুমি এদের হামলা থেকেও আমাকে রক্ষা করো। আমি যেন এমন কোন অবস্থার মধ্যে না পড়ি, যা দেখে শত্রু ও পরশ্রীকাতর লোকেরা খুশী হতে পারে।
- “হে আল্লাহ, আমাকে সেই ঈমান ও একীন দান করো, যা আমাকে সমস্ত কুফরী কাজ থেকে রক্ষা করবে। আমাকে সেই রহমতের ছায়ায় আশ্রয় দাও, যার ফলে আমি দুনিয়া ও আখেরাত সর্বত্রই ইজ্জত ও সম্মান নিয়ে থাকতে পারি।” (তারগীব ও তারহীব
- “হে আল্লাহ, তুমি এক মুহূর্তের জন্যেও আমাকে আমার নিজের কাছে ছেড়ে দিও না এবং আমাকে যে সর্বোত্তম নেয়ামত দান করেছ তা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিও
- ব্যাখ্যা: এর অর্থ হলো, আমাকে এমন অবস্থা থেকে রক্ষা করো, যার ফলে মানুষ তোমার অভিভাকত্ব ও আশ্রয় থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। তারপর নিজের নফস ও শয়তানের খপ্পড়ে পড়ে যায়, যা তাকে ধ্বংসের অতল গহ্বরে ফেলে দিয়ে তবেই ক্ষান্ত হয়। মানুষ যখন আল্লাহর নেয়ামতের মূল্য দেয় না এবং অকৃতজ্ঞতার পথ অবলম্বন করে তখন আল্লাহর অধিকতর নেয়ামত থেকে সে শুধু বঞ্চিতই হয় না, বরং প্রদত্ত নেয়ামতও তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়।
“হে
আল্লাহ, আমি তোমার কাছে
ঈমানের সঙ্গে সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। সৎ স্বভাবের সঙ্গে
ঈমান প্রার্থনা করছি এবং দুনিয়ায়
সেই সাফল্য প্রার্থনা করছি, যার সঙ্গে আখেরাতের
সাফল্য- রহমত, নিরাপত্তা, ক্ষমা ও সন্তুষ্টি জড়িয়ে
আছে।” (তারগীব)
“হে
আল্লাহ, অদৃশ্যের সকল জ্ঞানই তুমি
রাখো এবং সমস্ত সৃষ্টির
উপর সব রকম কর্তৃত্ব
তোমারই আছে। যদি আমার
বাঁচা আমার জন্যে মঙ্গলময়
হয় তাহলে তুমি আমাকে বাঁচিয়ে
রাখো; আর যখন আমার
মৃত্যু আমার জন্যে মঙ্গলময়
হবে তখন আমাকে তুমি
মৃত্যু দিও। হে আল্লাহ,
আমি তোমার কাছে এই প্রার্থনা
করি, আমি যেন প্রকাশ্যে
ও গোপনে উভয় অবস্থাতেই তোমাকে
ভয় করে চলি। আমি
তোমার কাছে এই প্রার্থনাও
করি, আমি কারো প্রতি
সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট থাকি,
উভয় অবস্থাতেই আমার মুখ দিয়ে
যেন ন্যায্য কথা বের হয়।
আমাকে দারিদ্র
ও সচ্ছলতা উভয়
অবস্থাতেই সঠিক পথ অবলম্বন
করার তাওফিক দাও। আমি তোমার
কাছে সেই নেয়ামত প্রার্থনা
করি, যা কখনও শেষ
হবার নয় (অর্থাৎ জান্নাতের
অফুরন্ত নেয়ামত)। আর আমি
তোমার কাছে চোখের সেই
প্রসন্নতা ও তৃপ্তি প্রার্থনা
করি, যা সর্বদা বর্তমান
থাকে। আর তোমার সিদ্ধান্তের
উপর সন্তুষ্ট ও তৃপ্ত থাকার
তাওফিক আমাকে দান করো।
আমি
তোমার সঙ্গে সাক্ষাতের স্বাদ কামনা করি। আমি এ
প্রার্থনা করি, তুমি আমার
অন্তরে তোমার সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ সৃষ্টি করে দাও। কোন
অসহনীয় কষ্ট ও বিভ্রান্তিকর
বিপদের হাত থেকে আমাকে
রক্ষা করো। হে আল্লাহ,
আমাদের জীবনকে ঈমানে পরিপূর্ণ করে দাও এবং
আমাদেরকে সোজা রাস্তায় গমনকারী
ও সোজা রাস্তা প্রদর্শনকারী
হবার তাওফিক দান করো।” (তারগীব
ও তারহীব)
“হে
আল্লাহ! হে মজবুত কুদরতের
মালিক এবং যথার্থ সিদ্ধান্তকারী।
আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি,
শাস্তির দিন তুমি আমাকে
শাস্তি থেকে রক্ষা করো।
আর চিরস্থায়ী ভাগ্য নির্ধারনের দিন আমাকে জান্নাতের
বাসিন্দা করো। আমাকে সে
সব লোকের সঙ্গে রাখো, যারা তোমার ঘনিষ্ঠ
বান্দা, সত্য দ্বীনের সাক্ষ্য
দানকারী, রুকু ও সেজদাকারী
এবং বন্দেগীর ওয়াদা যথাযথ পালনকারী। নিঃসন্দেহে তুমি দয়াময়, আপন
বান্দাকে ভালবাসো ও যা তুমি
ইচ্ছা করো তা করে
থাকো।
হে
আল্লাহ, আমাকে সোজা রাস্তায় গমনকারী
ও সোজা রাস্তার প্রতি
আহ্বানকারী হওয়ার তাওফিক দান করো। আমি
যেন নিজে গোমরাহ না
হুই ও গোমরাহীর প্রতি
আহ্বানকারী না হই। আমি
যেন তোমার রাস্তায় গমনকারীদের বন্ধু হুই ও তোমার
'শত্রুদের শত্রু হই। তুমি আমার
প্রিয় হও এবং যাদেরকে
তুমি পছন্দ কর তোমার প্রতি
ভালবাসার ভিত্তিতে তাদের প্রতি যেন আমার ভালবাসা
হয়। যারা তোমার বিরোধী
আমি যেন তাদের শত্রু
হই।” (তারগীব ও তারহীব)
“হে
আল্লাহ, তুমি আমাদের অন্তরে
তোমার এমন ভয় সৃষ্টি
করে দাও, যা আমাদেরকে
তোমার নাফরমানী থেকে বাঁচাবে। আর
তোমার আনুগত্যের তাওফিক দান করো, যার
মাধ্যমে আমরা তোমার জান্নাতে
স্থান লাভ করতে পারি।
আর সে বিশ্বাস দান
করো, যার ফলে দুনিয়ার
সব আপদ-বিপদ হালকা
ও সহজ হয়ে যায়।
যতদিন আমরা জীবিত থাকি
ততদিন আমাদের শুনবার ক্ষমতা, দেখবার ক্ষমতা ও শারীরিক ক্ষমতা
অক্ষুন্ন রেখো।
আমাদের
ওপর যারা অত্যাচার করবে তুমিই তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিও। যে আমাদের বিরুদ্ধে শত্রুতা করবে তুমি তার বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করো। তুমি আমাদের উপর দ্বীনি বিপদ আসতে দিও না। দুনিয়াকে তুমি আমাদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে দিও না।
এ
রকম যেন না হয়,
আমাদের সমস্ত জ্ঞান কেবল দুনিয়াকে ঘিরে
হবে ও আখেরাত সম্পর্কে
আমরা অজ্ঞ থেকে যাবো।
আমাদের উপর এমন লোকদের
চাপিয়ে দিও না, যারা
রহমদীল নয় এবং আমাদের
প্রতি দয়া করবে না।”
(তারগীব ও তারহীব)
“হে
আল্লাহ, আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক সুস্থ রাখো। আমাদের হৃদয়গুলোকে এক সূত্রে গেঁথে
দাও। আমাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করো
এবং অন্ধকার থেকে আমাদের আলোর
ভুবনে নিয়ে এসো।”
আবদুল্লাহ ইবনে
মাসউদ
রাদিয়াল্লাহু
আনহুর
দোয়া
“হে
আল্লাহ, আমি তোমার কাছে
এমন অটল ঈমান প্রার্থনা
করি যা কখনো দুর্বল
হবার না। এমন নিয়ামত প্রার্থনা
করি যা কখনও শেষ
হয় না। আমাকে তোমার
পয়গম্বর মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে চির-বিরাজমান সর্বোত্তম
জান্নাতে -দাখিল করো।” (মুসনাদ আহমদ)
পোস্ট ট্যাগঃ