ক্রোমোজোম কাকে বলে
জীবকোষের মধ্যকার একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ক্রোমোজম। এ ক্রোমোজম D. N. A (ডি অক্সি রাইবো নিউক্লিয়িক এসিড) নামক অতি সূক্ষ্ম উপাদান দিয়ে তৈরী। এই D. N. A এর একটি অংশের নাম জিন (অতিক্ষুদ্র কণা)। জীবকোষের এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তার পূর্ববর্তী প্রজন্মের বৈশিষ্ট্যগুলো পরবর্তী প্রজন্মে নিয়ে আসে।এক্ষেত্রে একই গোত্রের বা পরিবারের মধ্যে একে অন্যের ক্ষেত্রে শত বৈচিত্র থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ মিল লক্ষ্য করা যায়।
তাই দেখা যায়
হাঁসের ডিম থেকে হাঁসের
বাচ্চাই ফোটে। আবার মুরগির ডিম
থেকে মুরগির বাচ্চাই ফোটে। এটা হলো কাঠামোগত
দিক থকে পূর্ববর্তী প্রজন্মের
সাথে পরবর্তি প্রজন্মের মিল বা সাদৃশ্য।
আবার দেখা যায় হাঁসের
বাচ্চা জন্মের পর পানিতে রাখলে
সাঁতার কাটতে থাকে। এদের ক্ষেত্রে কোন
অস্বস্তি বা মৃত্যুর ভয়
থাকে না। কিন্তু মুরগির
বাচ্চা পানিতে রাখলে সেটি সাঁতার কাটতে
পারে না। এক্ষেত্রে সেটি
ডুবে মরবে। এ ধরনের স্বভাব
তাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের সাথে পরবর্তী প্রজন্মের
আচরণগত সাদৃশ্য।
পৃথিবীর
আদি প্রাণী প্রোটোজোয়া। এটি এককোষী প্রাণী।
এদের বংশগতির ধারা বজায় থাকে
কোষ-বিভাজনের মাধ্যমে। কোষ-বিভাজনের (দুই
ভাগে বিভক্ত হওয়া) সময় জীবকোষের মধ্যকার
ক্রোমোজমটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে নতুন দু'টি কোষে বিভক্ত
হয়। তখনও উভয়টির মাঝে
পূর্ববর্তী কোষের গুণাগুণ বজায় থাকে। এখানে ক্রোমোজমের জিনগুলো পূর্ববর্তী প্রজন্মের সংবাদ পরবর্তী প্রজন্মে নিয়ে আসে।
নিউক্লিয়ার ফিসন বিক্রিয়ায় যখন পরমাণুর প্রোটনকে নিউট্রন দিয়ে আঘাত করা হয় তখন চেইন বিক্রিয়ায় মূল পরমাণুটি ক্রমান্বয়ে ভাঙ্গতে থাকে। এ বিক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণহীন থাকে। এটি একটি অস্বাভাবিক অবস্থা। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় হয়ত এমনটি ঘটে না। জীবকোষের মধ্যকার ক্রোমোজমটি যখন স্বাভাবিকভাবে দ্বিখণ্ডিত হয়, তখন পূর্ববর্তী প্রজন্মের সকল সংবাদ (তথ্য) পরবর্তী প্রজন্মে নিয়ে আসতে পারে।
কিন্তু কোন কারণে যদি এর ব্যাঘাত ঘটে তখন কিন্তু পূর্ববর্তী প্রজন্মের বৈশিষ্ট্য পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে না। এতে জীবের শারীরিক গঠন ও জীবনযাত্রা পাল্টে যায়। আমাদের দেহ কোষে যখন কোন ভাইরাস প্রবেশ করে তখন ঐ ভাইরাস দেহ কোষের স্বাভাবিক কাজ কর্ম দখল করে নেয়। ফলে কোষ বিভাজনের সময় ঐ ভাইরাসের গুণাগুণ নতুন কোষগুলোতেও স্থানান্তরিত হয়। এতে দেখা যায় অন্য কোন মাধ্যমের হস্তক্ষেপ ছাড়া নতুন কোন প্রজাতির উদ্ভব হওয়া সম্ভব নয়।
তাই বলা
যায় সব জীবের মূল
উৎস এক ও অভিন্ন।
মহাবিশ্বের মহান পরিকল্পনাকারী আল্লাহ রাব্বুল
আলামীন
এমনি এক ও অভিন্ন
পানির আদি জীব থেকে
সাংগঠনিক বিবর্তনের মাধ্যমে বিভিন্ন কাঠামো ও স্বভাবের প্রাণীর
উদ্ভব ঘটিয়েছেন। কারণ উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে
বাধা সৃষ্টি করে নতুন প্রজাতির
উদ্ভব ঘটানো একমাত্র আল্লাহরই এখতিয়ারভুক্ত।
আল
কোরআনে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন- “তিনি (আল্লাহ) তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী
সৃষ্টিতে নতুন নতুন উপাদান
যুক্ত করে থাকেন।” (সূরা
ফাতির-১) “ওরা কি
লক্ষ্য করে না কিভাবে
আল্লাহ সৃষ্টিকে অস্তিত্ব দান করেন এবং
পুনরায় সৃষ্টি করেন।” (সূরা আনকাবূত-১৯)
উচ্চতর জীবের সন্তান
সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় শুক্র ও ডিম্বাণু মিলিত হয়ে ভ্রুণ সৃষ্টি হয়। এ ভ্রুণ বিকশিত হয়ে পূর্ণাঙ্গ সন্তান জন্ম নেয়। যা তাদের পূর্বসূরির অনুরূপ হয়। এ ক্ষেত্রে জিনগুলো পূর্বসূরির গুণাগুণের সংকেত বহন করে। এটি একটি স্বাভাবিক ও সফল প্রক্রিয়া। কিন্তু এরপরও জেনেটিক কোডে তথ্যের রূপান্তর ঘটতে পারে। যা ঘটে বাইরের কোন শক্তির প্ররোচণায়। ফলে পরবর্তী প্রজন্মের গঠন ও বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে আকস্মিকভাবে পরিবর্তন দেখা দিবে।
এই প্রক্রিয়াটিই জেনেটিক রূপান্তর ( Mutation)। ধারণা করা যায় উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতের বৈচিত্রময়তার ক্ষেত্রে অতীতে এমন অনেক জেনেটিক রূপান্তর ঘটেছে। যার ফলে অগণিত উদ্ভিদ ও জীব প্রজাতির উদ্ভব হয়েছে। কিন্তু সেই জেনেটিক রূপান্তর এখন আর ঘটে না।
তবে দেখা যায় পৃথিবীর আদি এককোষী প্রানীর কোন না কোন গুণাগুণ মানুষের মতো উচ্চতর প্রাণীর মধ্যেও লুকিয়ে আছে। এটা অন্যান্য জীবজন্তুর ক্ষেত্রেও খুঁজে পাওয়া যায়। এ থেকে প্রমাণ হয় যে একটা প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতির উদ্ভব হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
জীবের
বেলায় যেমন জেনেটিক রূপান্তর
ঘটতে পারে তেমনি জেনেটিক
বিলুপ্তি ও ঘটে। এতে
এমন হয় যে পূর্ববর্তী
প্রজন্ম থেকে নতুন কোন
প্রজন্ম জন্মই হয় না। ফলে
একটা প্রজাতির ধীরে ধীরে বিলুপ্তি
ঘটে। কিন্তু এমন যদি হয়
যে,
কোন একটি মায়ের গর্ভ
থেকে জেনেটিক রূপান্তরের মাধ্যমে নতুন প্রজাতির উদ্ভব
ঘটলো। আবার সাথে সাথে
ঐ প্রজাতির অন্যদের ক্ষেত্রে জেনেটিক বিলুপ্তির মাধ্যমে তাদের সমস্ত প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটল। এক্ষেত্রে একটি
মায়ের গর্ভ থেকে যাদের
উদ্ভব ঘটল তাদের পূর্ববর্তী
প্রজন্মের ধারাবাহিকতা খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফলে
এদের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার অস্তিত্ব
খুঁজে না পাওয়ায় তাদের
জন্মটা আশ্চর্যজনকই মনে হবে।
মূলতঃ Mutation প্রক্রিয়া
একজীব থেকে অন্যজীব সৃষ্টির মূল ভিত্তি। এর দ্বারা প্রমাণ হয় যে, সাংগঠনিক বিবর্তন প্রক্রিয়ায় জীব প্রজাতির নানা ধরনের রূপান্তর ঘটেছে। তার পাশাপাশি অনেক প্রজন্মের বিলুপ্তি ও ঘটেছে। তাই তার পূর্ববর্তী প্রজন্মের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। আর জেনেটিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, একটা লেজওয়ালা প্রাণীর জিন থেকে লেজের তথ্যটি যে ডি. এন. এ. কোড টেপ করে নিয়ে আসে সেটি যদি উধাত্ত করে দেয়া যায় তবে তাদের মাতৃগর্ভ থেকে লেজহীন নতুন এক প্রজাতির উদ্ভব ঘটবে।
কিন্তু অন্যান্য আঙ্গিক গঠন হয়ত পুরানো বংশধরের মতোই থাকবে। এভাবে জেনেটিক রূপান্তরের মাধ্যমে একটা বানরের জিনের “লেজ তথ্য” যে D. N. A টেপ করে নিয়ে আসে সেখান থেকে যদি এই তথ্যটি উধাও করে দিয়ে টেস্ট টিউব বেবী যে পদ্ধতিতে জন্ম দেয়া হয় সে ব্যবস্থা নেয়া যায় তবে লেজওয়ালা বানরের বংশধর থেকেও লেজহীন বানরের উদ্ভব ঘটানো সম্ভব।
তবে সে তথ্যটি মানুষের পক্ষে খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। কিন্তু আল্লাহর পক্ষে এমন কিছু করা একান্ত সহজ ব্যাপার। আমরা ধারণা করতে পারি আদম ও বিবি হাওয়া পূর্ববতি প্রজন্মের বেলায় হয়ত তাই ঘটে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে আমরা জেনেটিক বিলুপ্তি ও আল কোরআনের উদ্ধৃতি যাচাই করলে তার সত্যতা খুঁজে পাব। ধারণা করা যায়- বর্তমান মানব প্রজন্মের আবির্ভাবের ক্ষেত্রে একই সাথে জেনেটিক রূপান্তর ও জেনেটিক বিলুপ্তি ঘটেছে।
তাই নতুন মানব
প্রজাতির জন্ম দিয়ে তার
পূর্ববর্তী প্রজন্মের বিলুপ্তি ঘটেছে। ফলে তাদের পিতা-মাতার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য
তাদের পৃথিবীতে আবির্ভাব নিয়ে রূপকথার কাহিনী ও কুসংস্কারপূর্ণ তথ্যের
সূত্রপাত ঘটেছে। সকল কুসংস্কারের মূল
উৎপাটন করে সত্যের সন্ধান
দেওয়াই আমার লক্ষ্য।
জেনেটিকস
এর মাধ্যমে পূর্বসূরিদের গুণাগুণ উত্তরসূরিদের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। এর মাধ্যমে জীব প্রজাতির সন্তান-সন্ততি কাঠামোগতভাবে কোন রূপ পরিবর্তন ছাড়াই পুরোপুরি সেই প্রজাতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে থাকে। সে জন্য গরু, গরুর বাচ্চাই প্রসব করে। আবার হাঁসের ডিম ফুটে মুরগির বাচ্চা হয় না। এরপরও আল্লাহর ইচ্ছায় সৃষ্টির ধারাবাহিক প্রক্রিয়াতে প্রাকৃতিক পরিবেশের চাপে কিংবা সাংগঠনিক বিবর্তন ধারায় কোন না কোন সময় বিবর্তনধর্মী পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
এতে জেনেটিক রূপান্তর (Mutation) এবং জেনেটিক বিলুপ্তি (Genetic Drift) উভয়টিই দেখা দিয়ে থাকে। Mutation এর মাধ্যমে একটি জীবের সন্তান-সন্ততি রূপান্তরিত হয়ে অন্য জীব সৃষ্টি হতে পারে। অপরদিকে Genetic Drift এর মাধ্যমে একটি জীব চির দিনের জন্য বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। এ ঘটনাগুলো ঘটে জননকোষের (gamete) জিন এর ক্ষেত্রে। Mutation এর বেলায় আকস্মিকভাবে জিনে রূপান্তর ঘটে থাকে। অপরদিকে Genetic Drift এর বেলায় আকস্মিকভাবে একটি জিন বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। এর ফলে তাদের বংশবৃদ্ধি না হয়ে সেই প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মানুষের মাঝে অনেক পরিবার আছে যাদের সন্তান-সন্ততি অনেক থাকে। এর মধ্যে কারও শুধু ছেলে থাকে আবার কারও শুধু মেয়ে হয়। অপরদিকে অনেকেই আছে যাদের কোন সন্তানই থাকে না। যাদের সন্তান থাকে না তাদের মৃত্যুর পর ঐ বংশের আর কোন উত্তরসূরি থাকে না। এ ক্ষেত্রে এই পরিবারের বংশগতির ধারার বিলুপ্তি ঘটে।
এভাবে যদি
সারা পৃথিবীর মানুষের Genetic Drift দেখা দিত তবে
একদিন না একদিন বর্তমান
প্রজাতির মানুষেরও বিলুপ্তি ঘটত। Genetic Drift এর বেলায় আকস্মিক
জিন উধাও হয়ে যাওয়াতে
শুক্রাণু ও ডিম্বাণু নিষিক্ত
হতে ব্যর্থ হয় । ফলে
একটি জীব প্রজাতির বিলুপ্তি
ঘটে। অতীতে এভাবে
অনেক জীব প্রজাতির বিলুপ্তি
ঘটেছে। তার মধ্যে মানব
প্রজাতির উন্নতর ধাপ বৰ্তমান প্রজাতির
মানুষের আগেও নিম্ন ধাপের
জীব মানুষের অনেক প্রজাতির বিলুপ্তি
ঘটেছে।
আল-কোরআনে
উল্লেখ
রয়েছে-“তোমার প্রতিপালক অভাবমুক্ত, দয়াশীল। তিনি ইচ্ছা করলে
তোমাদের অপসারিত করতে পারেন এবং
তোমাদের পরে যাকে ইচ্ছা
তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করতে পারেন। যেমন
তোমাদের তিনি অন্য এক
সম্প্রদায়ের বংশ থেকে সৃষ্টি
করেছেন। (সূরা আন আম-১৩৩)
এ আয়াত থেকে বুঝা যায় যে আদমের প্রজাতির আগেও এক শ্রেণীর জীব প্রজাতির অনুন্নত মানব প্রজাতি পৃথিবীতে বসবাস করত, যাদের প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটেছে এবং তাদের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে আদম প্রজাতিকে। এ ক্ষেত্রে জেনেটিক রূপান্তর ও জেনেটিক প্রবাহ দু'টি ব্যবস্থাই পাশাপাশি কার্যকরী ছিল।
একদিকে জেনেটিক
রূপান্তরের মাধ্যমে অন্য মানুষের বংশধর
থেকে আদম ও হাওয়ার
জন্ম হয়েছে। অপরদিকে জেনেটিক বিলুপ্তির (Genetic Drift) মাধ্যমে নিম্ন ধাপের সকল মানুষের বিলুপ্তি
ঘটেছে। সেই নিম্ন শ্রেণীর
মানুষের ফসিল এখনও মাটি
খুঁড়ে পাওয়া যাচ্ছে। বিলুপ্তির এই ধ্বংসলীলা প্রাকৃতিক
নির্বাচনের মাধ্যমে ঘটেনি। বরং তা ঘটেছে
আল্লাহ তা'আলার পরম
ইচ্ছায় জিন উধাও হয়ে।
আল্লাহ
বলেন- “আমি ওদের সৃষ্টি
করেছি। আমি যখন ইচ্ছা
করব ওদের পরিবর্তে ওদের
অনুরূপ অন্য জাতিকে প্রতিষ্ঠিত
করব।” (সূরা দাহর-৪২)
“তিনি (আল্লাহ) তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী
সৃষ্টিতে নতুন নতুন উপাদান
যুক্ত করে থাকেন।” (সূরা
ফাতির-১)
এ
প্রসঙ্গে উদাহরণটি হবে এমন- যেমন
একটি ভিডিও ক্যাসেটে ধারাবাহিকভাবে অনেক লোকের জীবন
পদ্ধতির তথ্য টেপ করা
আছে। এর মধ্যে ধারাবাহিকভাবে
বংশগতির চিত্রও রয়েছে। এবার ক্যাসেটের মালিক
সেখান থেকে শেষের দু'জনের কর্মজীবনের ফটো
ও বংশগতির ধারার চিত্র ধারাবাহিকভাবে রেখে তার পূর্বের
সকল মানুষের কর্মজীবনের
ফটো
ক্যাসেট থেকে বিলুপ্তি ঘটালেন। এতে দেখা যাবে
যে, শেষের দু'জন হবেন
পৃথিবীর আদি মানব-মানবী।
ফলে তাদের পিতা-মাতার কোন
অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এক্ষেত্রে
তাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের বিলুপ্তি ঘটায় বিবর্তনের ক্ষেত্রে মাঝ পথে একটা
শূন্যতা দেখা দেয়, ফলে
বর্তমান মানব প্রজাতি যে
বিবর্তনের মাধ্যমে উন্নতর ধাপে পৌঁছেছে তা
বুঝা যায় না। অর্থাৎ
বর্তমান বুদ্ধিসম্পন্ন মানব প্রজাতির কাছাকাছি
অন্য কোন জীব মানুষের
প্রজাতির অস্তিত্ব না থাকায় বিবর্তন
যে হয়েছে এটা বুঝানোই কঠিন।
মূলত জেনেটিক বিলুপ্তির
ক্ষেত্রে Gamete গুলো নিষিক্ত (Fertilization) হতে ব্যর্থ হয়। অর্থাৎ পিতা-মাতার Gamete গুলো মিলিত হয়ে জাইগোট বা ভ্রুণ সৃষ্টি করতে পারে না। যে তথ্যকণার মাধ্যমে ভ্রুণ সৃষ্টির কাজটি সম্পন্ন হয় সেই D. N. A তথ্যটি আকস্মিক ভাবে জিন থেকে উধাও হয়ে যায়।
এ
ধরনের আকস্মিক পরিবর্তন একমাত্র আল্লাহর ইশারায় ঘটতে পারে। আল্লাহর
ইশারায় যে মানুষ জাতির
নিম্ন ধাপগুলোর বিলুপ্তি ঘটেছে তা আল-কোরআনেই
উল্লেখ রয়েছে। বর্তমান যুগে জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং
কোরআনের সেসব শাশ্বত বাণীর
গুরুত্ব উপলব্ধি করতে আমাদেরকে তার
অনুগ্রহের দুয়ার খুলে দিচ্ছে।
সংগৃহীতঃ আদমের আদি উৎস
আল মাহদী
পোস্ট ট্যাগঃ