নামাজের উপকারিতা
নামাজের উপকারিতা
ইসলামের
নির্ধারিত পাঁচটি মৌলিক কর্তব্যকাজের মধ্যে শাহাদাহ্ বা ঈমানের ঘোষণার পর নামাজই সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ।
নামাজের
গুরুত্ব ও তাৎপর্য পুরোপুরি
বুঝে নামাজ নিয়মিত ও সঠিকভাবে আদায়ের
মাধ্যমে আমরা আল্লাহ্ তা'আলার ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে
আসতে পারি।
এক্ষেত্রে
আমাদেরকে সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও ইসলাম কর্তৃক
নির্ধারিত দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের -প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে সদাসচেতন থাকতে হবে। অর্থাৎ নামাজ
শিক্ষা গুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা
করতে হবে।
আল্লাহ
তা'আলা মানুষকে তাঁর
'ইবাদাতের জন্যে সৃষ্টি করেছেন। তিনি কুরআন মজীদে
এরশাদ করেছেন:
“আমি
জিন্ ও মানব জাতিকে
কেবল আমার ‘ইবাদাতের জন্যেই সৃষ্টি করেছি।” (সূরাহ আয-যারিয়াত- ৫১:
৫৬)
অতএব,
আমরা যে কর্তব্যকাজই করি
না কেন আমাদেরকে অবশ্যই
মনে রাখতে হবে যে, আমরা
তা কেবল আল্লাহর জন্যই
করছি। কেবল তাহলেই আমরা
নামাজ আদায়ের কাঙ্ক্ষিত সুফল পেতে পারি।
নামাজের শিক্ষা সমূহ হচ্ছে
১।
নামাজ মানুষকে আল্লাহর সাথে ঘনিষ্ট সান্নিধ্যে
নিয়ে আসে।
২।
নামাজ মানুষকে অশ্লীল, লজ্জাস্কর ও হারাম কাজ
থেকে ফিরিয়ে রাখে। (সূরাহ আল্-আনকাবুত- ৪৫)
৩।
নামাজ হচ্ছে কুপ্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণের জন্যে এক ধরনের প্রশিক্ষণ
কর্মসূচী।
৪।
নামাজ হৃদয়কে নির্মল করে, মনকে বিকশিত
করে এবং আত্মাকে প্রশান্তি
দেয় ৷ নামাজ সদাসর্বদা
আল্লাহ্ তা'আলার অস্তিত্ব
ও তাঁর মহানত্বের কথা
স্মরণ করিয়ে দেয়।
৫।
নামাজ শৃঙ্খলাবোধ ও ইচ্ছাশক্তিকে বিকশিত
করে।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শিক্ষা
৬।
নামাজ হচ্ছে সবচেয়ে সহজ সরল ও
সুস্পষ্ট জীবনের পথনির্দেশ।
৭।
নামাজ হচ্ছে প্রকৃত সাম্য, সুদৃঢ় ঐক্য ও সার্বজনীন
ভ্রাতৃত্বের প্রমাণ বা নিদর্শন। নামাজ
হচ্ছে ধৈর্য, সাহস, আশা ও আত্মপ্রত্যয়ের
উৎস।
৮।
নামাজ হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা, পবিত্রতা ও নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যম।
৯।
নামাজ কৃতজ্ঞতা, বিনয় ও সংশোধনের বিকাশ
ঘটায়।
১০।
নামাজ হচ্ছে আল্লাহ্ তা'আলার প্রতি
আমাদের আনুগত্যের প্রদর্শনী।
১১
। নামাজ হচ্ছে আমাদের কথার সাথে আমাদের
কাজের মিল ঘটানোর কর্মসূচী।
নামাজ হচ্ছে ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টি
অর্জনের লক্ষ্যে সর্বাত্মক চেষ্টা তথা জিহাদের জন্য
তৈরী করার এক সুদৃঢ়
কর্মসূচী।
আমাদের
নামাজ যদি আমাদের আচার-আচরণ ও কাজকে
সংশোধন ও উন্নত না
করে তাহলে অবশ্যই আমাদের মনে করতে হবে
যে, আমরা ভুল করে
যাচ্ছি অর্থাৎ আল্লাহপাকের নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করছি না।
নামাজ থেকে আমাদের এসকল
শিক্ষাসমূহ পেয়ে থাকি। তাই
আমাদের নামাজের শিক্ষা গুলো বুঝে চলা
উচিত।
সূরা ফীল এর শানে নুযুল
বিছমিল্লাহির রাহমানির রহীম
আলাম
তারা কাইফা ফা'আলা রব্বুকা
বি আছহাবিল ফীল্ আলাম ইয়াজ্'আল
কাইদাহুম ফী তাদলীল। ওয়া
আরসালা ‘আলাইহিম তইরান আবাবীল্। তারমিহীম বিহিজারাতিম্ মিন সিজিল। ফাজা
‘আলাহুম কা‘আছফিম্ মা’কুল। (আল কুরআন থেকে সহিহ শুদ্ধ করে দেখে নিন)
সূরা ফীল বাংলা উচ্চারণ
পরম দয়াময় মেহেরবান আল্লাহর নামে শুরু করছি।
তুমি
কি দেখ নি তোমার
রব হাতীওয়ালাদের সাথে কেমন আচরণ
করলেন? তিনি কি তাদের
অপকৌশলকে ব্যর্থ করেন নি? এবং
তিনি তাদের বিরুদ্ধে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী পাঠালেন যারা
তাদের ওপর পোড়ামাটির কঙ্কর
নিক্ষেপ করে, এভাবে তাদেরকে
ভক্ষিত খড়কুটার মত (ছিন্নভিন্ন) করে
ফেলে।”
সংগৃহীতঃ অনলাইন
পোস্ট ট্যাগঃ