আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে উক্তি
অনেক মানুষ এভাবে চিন্তা করে যে দুনিয়ার সকল কিছুই আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? কিংবা আল্লাহর আগে কি ছিল? এর জবাবে বলা যায়,
**আল্লাহই জগতের আদি ও চিরন্তন সত্তা ৷
**তিনি কারও মাধ্যমে সৃষ্টি হন নাই।
**আমরা যদি কাউকে প্রশ্ন করি একশত এর আগের সংখ্যাটি কি? তখন একশত থেকে এক বাদ দিয়ে (১০০-১=৯৯) বলতে পারব সে সংখ্যাটি হবে নিরানব্বই।
**এভাবে পিছনের দিকে আসতে থাকলে শেষ পর্যন্ত পাওয়া যাবে আদি মূল একক ‘এক’কে।
**কিন্তু তারও আগে কি ছিল এরূপ চিন্তা করলে পাওয়া যাবে শূন্যের (০) অস্তিত্ব। মূলত শূন্য মূল্যহীন।
**এ থেকে কোন কিছুর সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব।
**তাই আল্লাহ জগতের এক ও চিরন্তন সত্তা ৷
**আল্লাহ শূন্য (০) থেকে সৃষ্টি হননি। বরং তিনি শূন্য থেকেই সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন।
***আল্লাহর আগে, পরে, উপরে, নীচে বলতে কিছুই নেই।
**পরম স্থিতির জগতে আল্লাহ ব্যতীত জগতের সর্বত্রই ছিল শূন্যতা।
একটা বৃত্তের পরিধির এক জায়গায় যদি আল্লাহর অস্তিত্ব ধরে নেই, তাহলে দেখা যাবে, এখানে আল্লাহর আগে, পরে বলতে কিছু নেই। এক্ষেত্রে আল্লাহ ছাড়া সর্বদিকেই শূন্যের অবস্থান।
***তাই শূন্য (০) যেমন আল্লাহকে বানায়নি, তেমনি আল্লাহর আগে কোন কিছুরই অস্তিত্ব ছিলনা।
***তিনি জগতের আদি, একক সত্তা।
মূলত আল্লাহর আদি অবস্থান সম্পর্কে আমরা অবহিত হতে পারলেই আমাদের মন থেকে এ ধরনের চিন্তার অবসান ঘটতে পারে।
আল্লাহর আদি অবস্থান
মানুষ ক্ষণস্থায়ী জীব। দুনিয়ার জীবনে তাদের শুরু এবং শেষ আছে। কিন্তু আল্লাহ অনন্ত, অসীম, চিরঞ্জীব। তাই মানুষের পক্ষে আল্লাহর আদি অবস্থান সম্পর্কে জানা তাদের জ্ঞানের পরিসীমার আওতাধীন নয়। এখানে “আল্লাহর আদি অবস্থান” বলতে পরমস্থিতির জগতে আল্লাহ কোথায়, কিভাবে ছিলেন এবং তখন মহাবিশ্বের অবস্থা কেমন ছিল, সে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।
মূলত আল্লাহ আদিতেও যেমন ছিলেন, এখনও তেমনিই আছেন। আল্লাহর ক্ষেত্রে শিশু, যুবক, বৃদ্ধ, এ ধরনের বাক্য ব্যবহারের প্রশ্নই আসে না। আল্লাহর বেলায় বর্তমান, অতীত, ভবিষ্যত বলতে কিছু নেই। তবে শুরু থেকেই মহাবিশ্বের আদি অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। অর্থাৎ এক সময় মহাবিশ্বে ছিল পরম স্থিতি অবস্থা এবং বর্তমানে রয়েছে আপেক্ষিক গতি।
পরমস্থিতি অবস্থায় কোথাও পদার্থ বলতে কিছুই ছিলনা। কিন্তু আপেক্ষিক গতি অবস্থায় আমরা এখন মহাবিশ্বে যা কিছু দেখছি, তার সকল কিছুই ক্রমান্বয়ে সৃষ্টি হচ্ছে। আল্লাহ মহাবিশ্বের অবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজের কার্যব্যবস্থা ও আসনের পরিবর্তন করেছেন সত্য, কিন্তু তিনি আগেও যেমন ছিলেন এখনও তেমনি আছেন।
আল্লাহ নিজের আদি অবস্থানের কথা উল্লেখ
হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ নিজের আদি অবস্থানের কথা উল্লেখ করেছেন। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো- “আমি ছিলাম একটি গুপ্তধন। আমি প্রকাশ হতে চাইলাম, তাই সৃষ্টি করলাম এই সৃষ্টিকে। ইচ্ছা আমি পরিচিত হই।” (হাদীসে কুদসী) কোরআন মাজীদে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন- “তিনিই আদি ও তিনিই অন্ত; তিনি ব্যক্ত ও তিনিই গুপ্ত।” (৬: ১০৩)
পরম স্থিতি অবস্থায় মহাবিশ্ব
পরম স্থিতি অবস্থায় মহাবিশ্বে ছিল পরম নির্বঢ় শূন্যতা। তখন সময়ের চাকা ছিল স্থির। সেই পরম শূন্য সময়ে বস্তুকণা, কোয়ার্ক, কসমিক ব্যাক গ্রাউন্ড মাইক্রো-ওয়েভ সহ কোন কিছুই ছিল না। এমন শূন্য সময়ে যেমন ছিল না পদার্থের কোন অস্তিত্ব তেমনি ছিল না স্থান কালের সম্পর্ক। সে সময় পরম প্রতিপালক ছিলেন মহাজগতের গুপ্তধন।
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে উক্তি
***তিনি ছিলেন পরম শূন্যতার মাঝেই গুপ্ত।
***অনন্ত শূন্যতা থেকে স্রষ্টা প্রকাশ হতে চাইলেন। তাই সৃষ্টার প্রকাশের ব্যগ্রতা পরম স্থির অসীম শূন্যতাকে একটি নির্দিষ্ট বিন্দু হতে স্পন্দিত করে। এ স্পন্দন মহামনের (স্রষ্টার) পরম ইচ্ছার প্রকাশ “মহাস্পন্দন”।
***যা পরম স্থিরতা বা শূন্যতাকে আন্দোলিত করে তোলে। এ আন্দোলন পরম শূন্যতার মাঝে ঢেউ বয়ে তোলে। এ থেকে পরম শূন্যস্থান তরঙ্গ বা ঢেউ চলার গুণ লাভ করে। তাই মহা বিশ্বের শুরুটা পরম সত্তার ইচ্ছার বহিপ্রকাশ। এর ফলে শক্তি ও বস্তুর মূল সত্তার প্রকাশ হয়।
বস্তুর মূল সত্তা হলো তথ্য কণা। এর থেকেই ফোটন বা আলোর উদ্ভব হয়। তারপর কোয়ার্ক এর আবির্ভাব। অতঃপর কোয়ার্কের ভিত্তিতে গড়ে উঠে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন। এ থেকেই বস্তু জগতের উৎপত্তি।
ষ্টিফেন হকিং একজন প্রকৃতি বিজ্ঞানী
ষ্টিফেন হকিং একজন প্রকৃতি বিজ্ঞানী। তার মতে আদিম মহাবিস্ফোরণের পর থেকে এই বিশ্ব জগতের উৎপত্তি। তিনি সৃষ্টির পিছনে স্রষ্টার হাত আছে এ কথা বিশ্বাস করতে নারাজ। তারা মহাবিশ্বের শুরুটাকে দ্বৈবিক মনে করেন।
তাদের ধারণা আদি ব্ল্যাক হোল (কৃষ্ণ গহ্বর) থেকে এখনও মাইক্রোওয়েভ উৎসারিত বা বিকিরিত হয়। অতঃপর পর্যায়ক্রমে ব্ল্যাক হোলেরও বিলুপ্তি ঘটবে। এ অর্থে আদি ব্ল্যাকহোল হল-আদিম মহাবিস্ফোরণ ক্ষেত্র। তারা কখনো মনে করেন না যে, সৃষ্টির আদি উপাদানেরও স্রষ্টা আল্লাহ নিজেই।
কিন্তু আমরা কোরআন ও হাদীসের উদ্ধৃতি থেকে মহাবিশ্বের শুরু বা আরম্ভের আগেও আল্লাহ কি অবস্থায় ছিলেন তা জানতে পেরেছি।
আমরা জানলাম আদিতে মহাবিশ্বের পরম স্থিতি ও শূন্য সময়ে আল্লাহ ছিলেন পরম শূন্যতার মাঝে গুপ্ত অবস্থায় এবং তিনিই ছিলেন জগতের গুপ্তধন জগৎ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে স্রষ্টা এর মাল-মসলা অন্য কোথাও হতে আমদানী করেননি। সে জন্য আল্লাহ বস্তু ও বস্তুর উপাদানের স্রষ্টা।
তিনি শূন্য থেকে বস্তুর উপাদান ও বস্তু সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির শুরুর ক্ষেত্রে স্রষ্টার ইচ্ছা বা আদেশ ঘটিত স্পন্দন বা তথ্য কণাই মূল উপাদান।
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে উক্তি
**আল কোরআনে আল্লাহ এরশাদ করেছেন- “তিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবীর আদি স্রষ্টা।” (৪২: ১১)
**“আমি যে জিনিসের এরাদা করি সে জন্য শুধু এতটুকু বলতে হয় “হয়ে যাও” তাহলেই তা হয়ে যায়।” (সূরা নাহল: ৪০)
আল্লাহই সকল সৃষ্টির আরম্ভ করেছেন; তারপর তা পুনঃ পুনঃ সৃষ্টি করেছেন এবং সবশেষে সবাইকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে নেয়া হবে।” (১৭: ৫০-৫৩)
আল্লাহর আদেশ (“হয়ে যাও”) ঘটিত ইচ্ছা (এরাদা) হলো তথ্য কণা ৷ বস্তু জগতের সমুদয় কিছুই তথ্য কণার সমাহার। তথ্য সাধারণতঃ জীবন ঘনিষ্ঠ কোন মাধ্যম থেকেই প্রেরিত হয়। তাই জগতের সকল শক্তির উৎস একমাত্র আল্লাহই। কিন্তু বৈজ্ঞানিকদের আদি ব্ল্যাকহোল থেকে কসমিক ব্যাক গ্রাউন্ড মাইক্রো ওয়েভ উৎসারিত হওয়ার ধারণাটি ভ্রান্ত। এ অর্থে মহাবিশ্বের শুরুর ক্ষেত্রটা ব্ল্যাকহোলে পরিণত হয়েছে এটা বিশ্বাস করা ঠিক নয়।
মহাবিশ্বে ব্ল্যাকহোল আছে, থাকতে পারে। কিন্তু বিশ্বের আদি শুরুটা ব্ল্যাকহোলে পরিণত হয়েছে, এটা সত্য নয়। বরং বিশ্বাস করতে হবে বিশ্বের শুরুটা ব্রাইট হোল (উজ্জ্বল গহবর)-এ অবস্থানকারী পরম সত্তার প্রেরিত ‘তথ্য কণার' মাধ্যমেই হয়েছে।
সেই ব্রাইট হোলের উজ্জলতায় তার আশে পাশের কোটি কোটি আলোক বর্ষ দূরত্বের মাঝে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই। হাদীসে কুদসী থেকে এর কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
আল্লাহর দিদার লাভ
তিনি বলবেন, ‘তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হউক, হে জান্নাতবাসীগণ!' ইহা আল্লাহ তা'আলার সেই বাণী (যা কুরআনে উল্লেখ আছে) “শান্তি উক্তিটি দয়াময় প্রভুর পক্ষ হতে” (সূরা ইয়াসীন: ৫৮)। তিনি জান্নাতবাসীদের প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন। তারাও তাঁর প্রতি দৃষ্টিপাত করবে।
অতঃপর যতক্ষণ তারা তাঁকে দেখতে থাকবে, ততক্ষণ তারা জান্নাতের কোন নিয়ামতের দিকেই লক্ষ্য করবে না। অতঃপর তিনি তাদের নিকট হতে আত্মগোপন করবেন। শুধু তাঁর আলো ও তাঁর বরকত তাহাদের উপর এবং তাদের বাসভবন সমূহের উপর অবশিষ্ট থাকবে।” (হাদীসে কুদসী)
পরম স্থিতির জগতে আল্লাহ
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে উক্তি
**পরম স্থিতির জগতে আল্লাহ যেমন নিরাকার অস্তিত্ব নিয়ে বিরাজ করছিলেন এখনও আল্লাহ তেমনই আছেন।
**কারণ নিরাকার অস্তিত্ব ব্যতীত কেউ অনন্ত, অসীম ও চিরঞ্জীব হতে পারে না।
যার আকার আছে তার একটা সীমানা থাকে এবং তার মাঝে গতি বিরাজ করে। এ কারণে সেটি সীমাবদ্ধ, সসীম ও ক্ষণস্থায়ী জীবনের অধিকারী হয়। যেমন একটি টেবিল কিংবা আকাশের চাঁদ উভয়ের গঠনের ক্ষেত্রে অবশ্যই সীমানা থাকে।
এদের সাথে বড়, ছোট হিসেবে অন্যদের তুলনা করা যায়। এগুলো চৌমাত্রিকের মধ্যে বিরাজ করে। এদের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা এবং সময়ের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে গতি আছে। ফলে তাদের জন্ম ও মৃত্যু আছে।
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে উক্তি
***কিন্তু পরম স্রষ্টা মাত্রা বহির্ভূত জগতে অবস্থান করেন বলে তিনি চিরঞ্জীব অনন্ত, অসীম ও মাত্রাহীন। তাঁর ক্ষেত্রে জন্ম মৃত্যুর বালাই নেই এবং আল্লাহর অবস্থানের ক্ষেত্রে গতি ও সময়ের কোন অস্তিত্ব নেই।
আমরা তিন মাত্রার জীবকে ধরতে, ছুঁইতে পারি, কিন্তু দুই মাত্রার জীব হলে সেটি হবে কাগজে ছাপানো ছবির ন্যায়। এমন প্রাণী চলতে ফিরতে পারবে না। তাদের পরিপাক তন্ত্রের ঝামেলা থাকবে না। তাই তাদের খাদ্য হজম হবে না। অর্থাৎ তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুই অবধারিত।
আর এক মাত্রার জীবের অস্তিত্ব কল্পনাই করা যায় না। পদার্থের জগতে শুধু দৈর্ঘ্য আছে এমন জীব হতেই পারে না। সুতরাং অস্তিত্বশীল আকার, আকৃতির জীব মানেই মাত্ৰিক জিনিস।
তাই জগৎ স্রষ্টার ক্ষেত্রে কোন মাত্রা নেই, আকার নেই, গতি নেই ৷ তিনি নিরাকার, তবু বেহেশতবাসীগণ স্বচক্ষে আল্লাহকে দেখতে পাবেন আল্লাহকে দেখার বিষয়টি উদাহরণ দিয়ে বুঝানো খুব কঠিন। তাঁর সাথে কারও তুলনা চলে না। তবু বলা যায় আসমান নিরাকার হলেও সেটি যেমন সামিয়ানার মতো দেখা যায়, তেমনি আল্লাহ নিরাকার হলেও তাঁকে দেখা যাবে।
নিম্নে হাদীসে কুদসী থেকে এ সম্পর্কে উদাহরণ দেয়া যায়-
“দিনে যখন আকাশে মেঘ থাকে না তখন তোমরা সূর্য দেখ কি? আর রাতে যখন আকাশ মেঘ মুক্ত থাকে, তখন তোমরা চাঁদ দেখকি? নিশ্চয়ই তোমরা তোমাদের প্রভুকে অতিসত্ত্বর দেখতে পাবে। এমন কি কোন ব্যক্তিকে তার প্রভু সম্বোধন করিবেন এবং জিজ্ঞাসা করবেন, “হে আমার বান্দা।
তুমি কি এই গুনাহ স্বীকার কর?” সে বলবে, “হে আমার প্রভু! আপনি কি আমাকে ক্ষমা করেন নাই?” তখন তিনি বলবেন, “আমার ক্ষমার ফলেই তো তুমি এই পর্যায়ে পৌঁছেছ।” (হাদীসে কুদসী)
আদিতে আল্লাহ ছিলেন পরম শূন্যতার মাঝে গুপ্ত অবস্থায়
***আদিতে আল্লাহ ছিলেন পরম শূন্যতার মাঝে গুপ্ত অবস্থায়। অতঃপর আল্লাহ আরশকে নিজ আধিপত্যের অধীনে আনলেন। এতে জগৎ -মহাজগতের সকল কাজ-কর্ম সুচারুরূপে চলতে থাকে।
“অতঃপর আ’রশকে আল্লাহ নিজ আধিপত্যের অধীনে করলে জাগতিক কার্যবলী সুচারুরূপে চলতে লাগল।” (আল কোরআন)
পৃথিবী ঘুরছে। ঘুরছে আসমানের গ্রহ নক্ষত্রগুলো নিজ নিজ কক্ষপথে। এটাই গতির জগৎ। এদের মাঝে গতি আছে বলেই সেগুলো টিকে আছে শূন্যের মধ্যে। তাই গতির জগতের পাশাপাশি স্থিতি (স্থির) জগৎ ও রয়েছে। স্রষ্টা আগেও যেমন ছিলেন পরম স্থিতির জগতে তেমনি এখনও রয়েছেন গতিহীন পরম স্থির জগতে।
সেখান থেকেই তিনি আ'রশের মাধ্যমে মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। আল্লাহর ক্ষমতা সৃষ্টির প্রতিটি রেনু কণা পর্যন্ত বিস্তৃত। আল্লাহর আরশ মহামস্তিষ্ক। এর স্নায়ূ ব্যবস্থা অদৃশ্য। তাই স্রষ্টার কার্যক্রম আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় না। আমরা শুধু অনুভব করি। আল্লাহ আছেন বলেই জগৎ টিকে আছে। তাঁর কুদরতের হাতে জগতের সকল কিছুই বন্দি। আমরাও তাঁর সৃষ্টির বাইরে নই। তাই আমাদের উচিত স্রষ্টার আনুগত্য করা।
সংগৃহীতঃ আদমের আদি উৎস
লেখকঃ আল মেহেদী
পোস্ট ট্যাগঃ