৮ টি জান্নাতের নাম অর্থসহ
৮ টি জান্নাতের নাম অর্থসহ
মুমিন
মুসলিমগণের ইবাদত বন্দেগীর দ্বারা যেসকল জান্নাতের অধিকারী হবে তার নাম ও অর্থসমূহ
আজকে সংক্ষিপ্ত আকারে আমরা জানবো।
জান্নাতুল ফেরদৌস
(স্বর্গের
বাগান)
জান্নাতুন নাইম
(নেয়ামতের
বাগান)
জান্নাতুল মাওআ
(আসল
আশ্রয়কেন্দ্র)
জান্নাতুল আদন
(স্থায়ী
বা পারমানেন্ট জান্নাত)
দারুস সালাম
(শান্তিময়
আবাসস্থল)
দারুল খুলদ
(স্থায়ী
শান্তির
জায়গা)
দারুল মাকাম
(স্থায়ী
নিবাসঘর)
দারুল কারার
(অন্তিম
আবাসস্থল)
৮
টি জান্নাতের নাম অর্থসহ জানার পর আমরা জান্নাতের যে নেয়ামতসমূহ ভোগকরতে পারবো
তা নিচে সহজে আলোচনা করা হবে আপনারা পুরো পোস্টটি পড়ুন তাহলে জানা যাবে।
জান্নাতের নিয়ামত
আল্লাহ
আবার বলবেন: এখন কি তোমরা
সন্তুষ্ট হয়েছেন? জান্নাতীরা বলবে হে আমাদের
প্রভু! আমরা কেন সন্তুষ্ট
হবনা। তুমি আমাদেরকে এমন
এমন নিয়ামত দান করেছো যা
তোমার সৃষ্টি জীবের মধ্যে কাউকে দাওনি। আল্লাহ বলবেন আমি কি তোমাদেরকে
ঐ নিয়ামত দিব না, যা
এ সমস্ত নিয়ামত থেকে উত্তম?
জান্নাতীরা বলবে
হে
আমাদের
প্রভু
জান্নাতীরা বলবে হে আমাদের প্রভু সেটা কোন্ নিয়ামত যা এ সমস্ত নিয়ামত থেকেও উত্তম? আল্লাহ বলবে: আমি তোমাদেরকে আমার সন্তুষ্টির মাধ্যমে সম্মানিত করবো। আজ থেকে আর কখনো আমি তোমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হবো না। (বুখারী, মুসলিম)
আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল
তাদের
কতইনা সৌভাগ্য যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি
হাসিল করবে এবং তাঁর
রাগ থেকে মুক্তি পাবে।
আর ঐ সমস্ত লোকদের
কতইনা দূর্ভাগ্য যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি
থেকে মাহরুম হবে আর তাঁর
গজবের হকদার হবে। (আল্লাহ সমস্ত মসুলমানদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে তাঁর
অনুগ্রহের মাধ্যমে স্বীয় সন্তুষ্টির মাধ্যমে সম্মানিত করুন এবং তাঁর
অসন্তুষ্টি থেকে মুক্তি দিন
আমীন)।
মোরাকাবা ও
মোশাহাদার
আল্লাহর
সাক্ষাৎ: অন্যান্য মাসলা মাসায়েলের ন্যায় আল্লাহর সাক্ষাৎ এ বিষয়েও মুসলমানরা
অতিরিক্ত ও কমতির দিক
থেকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে।
একদল তো মোরাকাবা ও
মোশাহাদার মাধ্যমে দুনিয়াতেই আল্লাহর সাক্ষাতের দাবী করেছে। আবার
কোনো কোনো দল কুরআনের
আয়াত:
অর্থ:
“তাঁকে কোনো দৃষ্টি পরিবেষ্টন
করতে পারেনা আর তিনি সকল
দৃষ্টি পরিবেষ্টন কারী। (সূরা আনআম: ১০৩)
অনেকে
এ আয়াতের আলোকে পরকালে আল্লাহর সাক্ষাৎকে অস্বীকার করেছে। কিতাব ও সুন্নাত থেকে
প্রমাণিত আকীদা এই যে, যে
কোনো মানুষের জন্য, চাই সে নবীই
হোক না কেন, এ
পৃথিবীতে আল্লাহর সাক্ষাৎ সম্ভব নয়।
কুরআন মাজীদে
মূসা
(আঃ)
এর ঘটনা
কুরআন
মাজীদে মূসা (আঃ)-এর ঘটনা
অত্যন্ত পরিষ্কার করে বর্ণনা করা
হয়েছে, যখন তিনি ফেরাউনের
হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার
পর বনী ইসরাঈলকে সাথে
নিয়ে সীনা নামক দ্বীপে
পৌছলেন তখন আল্লাহ তাকে
তূর পাহাড়ে ডাকলেন।
চল্লিশ দিন
অবস্থান
করার
পর
আর
সেখানে চল্লিশ দিন অবস্থান করার
পর, তাকে তাওরাত দান
করলেন। তখন মূসা (আঃ)
আল্লাহর দিদারের আগ্রহ করলো, তাই তিনি আরয
করলেন: অর্থ: “হেআল্লাহপাক আমাকে অনুমতি দিন যেন আমি
আপনাকে দেখতে পাই।”
জান্নাতের নেয়ামত
আল্লাহ
উত্তরে বললেন: হে মূসা! তুমি
আমাকে কখনো দেখতে পাবে
না। তবে তুমি সামনের
পাহাড়ের দিকে তাকাও যদি
তা স্বস্থানে স্থির থাকতে পারে, তা হলে তখন
তুমিও আমাকে দেখতে পাবে। অতঃপর তার প্রতিপালক যখন
পাহাড়ের ওপর আলোক সম্পাৎ
করলেন, তখন তা পাহাড়কে
চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিল।
আর
মূসা (আঃ) সংজ্ঞাহীন হয়ে
পড়ে গেল, যখন তার
চেতনা ফিরে আসল, তখন
সে বলল আপনি মহিমাময়,
আপনি পবিত্র সত্তা, আমি তওবা করছি।
আমিই সর্বপ্রথম (গায়েবের প্রতি) ঈমান আনলাম। (বিস্তারিত দেখুন সূরা আরাফ: ১৪৩)
দুনিয়াতে আল্লাহর
দীদার
সম্ভবই
না
এ
ঘটনা থেকে একথা স্পষ্ট
হয় যে, দুনিয়াতে আল্লাহর
দীদার সম্ভবই না। মেরাজের ঘটনা
সম্পর্কে রাসূলূল্লাহ শাহ-এর ব্যাপারে
আয়েশা (রাঃ) এর বর্ণনাও
এ আকীদার কথাই প্রমাণ করে,
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বলে
মুহাম্মদ সাঃ স্বীয় রবের
সাথে সাক্ষাৎ করেছে সে মিথ্যুক। (বুখারী
ও মুসলিম)
পরকালে আল্লাহর
সাক্ষাৎ
এ
দুনিয়ায় যখন নবীগণ আল্লাহকে
দেখতে পারে নি, তাহলে
উম্মতের কোনো ব্যক্তির এ
দাবী করা যে, সে
আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেছে তা
মিথ্যা ব্যতীত আর কি হতে
পারে? পরকালে আল্লাহর সাক্ষাৎ কুরআন ও সহীহ হাদীস
দ্বারা প্রমাণিত। আল্লাহর বাণী: অর্থ: “নেককারদের জন্য উত্তম প্রতিদান
ব্যতীতও আরো প্রতিদান থাকবে।”
(সূরা ইউনুস: ২৬)
জান্নাতীরা জান্নাতে
এবং
জাহান্নামীরা
জাহান্নামে
চলে
যাবে
এ
আয়াতের তাফসীরে সুহাইব রূমী (রা) থেকে বর্ণিত
হয়েছে, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ
এ আয়াত পাঠ করেছেন এবং
বলেছেন: যখন জান্নাতীরা জান্নাতে
এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে চলে যাবে তখন
এক আহ্বানকারী আহ্বান করবে হে জান্নাতীরা!
আল্লাহ তোমাদের সাথে এক ওয়াদা
করেছিলেন, তিনি আজ তা
পূর্ণ করতে চান। তারা
বলবে সে কোন ওয়াদা?
জান্নাতবাসী আল্লাহর
সাথে
সাক্ষাত
করবে
আল্লাহ
তাঁর স্বীয় দয়ায় আমাদের আমলসমূহ মিযানে ভারী করে দেন
নি? তখন পর্দা উঠে
যাবে এবং জান্নাতবাসী আল্লাহর
সাথে সাক্ষাত করবে। সুহাইব বলেন: আল্লাহর কসম! আল্লাহকে দেখার
চেয়ে জান্নাতবাসীদের জন্য আনন্দদায়ক এবং
চোখের শান্তি দায়ক আর কিছুই থাকবে
না। (মুসলিম)
অন্যত্র
আল্লাহ ইরশাদ করেন: অর্থ: “সেদিন কোন কোন মুখ
মণ্ডল উজ্জ্বল হবে, তারা তাদের
প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে।”
(সূরা কিয়ামাহ ২২-২৩)
জান্নাতীগণ আল্লাহর
দিকে
তাকানোর
কথা
এ
আয়াতে জান্নাতীগণ আল্লাহর দিকে তাকানোর কথা
স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে, জাবীর বিন আবদুল্লাহ (রা)
থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা
নবী সাঃ এর নিকট উপস্থিত ছিলাম
তিনি ১৪ তারিখের চাঁদের
দিকে তাকিয়ে বললেন: জান্নাতে তোমরা তোমাদের রবকে এমনভাবে দেখবে
যেমনভাবে এ চাঁদকে দেখছ।
সেদিন আল্লাহকে দেখতে তোমাদের কোনো কষ্ট হবে
না। (বুখারী)
পরকালে জান্নাতীরা
আল্লাহকে
দেখতে
পাবে
অতএব
ঐ লোকেরাও পথভ্রষ্ট হয়েছে যারা দাবী করে
যে, তারা এ পৃথিবীতে
আল্লাহকে দেখেছে এবং তারাও ধোঁকায়
পড়েছে যারা মনে করে
যে, কিয়ামতের দিনও আল্লাহকে দেখা
যাবে না। সঠিক আকীদা
হলো এই যে, দুনিয়াতে
আল্লাহর দীদার অসম্ভব, তবে অবশ্যই পরকালে
জান্নাতীরা আল্লাহকে দেখতে পাবে। যা হবে অত্যন্ত
বড় নিয়ামত যার মাধ্যমে বাকী
সমস্ত নিয়ামত পূর্ণতা লাভ করবে।
জান্নাতে প্রবেশকারী মানুষ
জান্নাতে প্রবেশকারী
মানুষ:
উল্লেখিত শিরোনামে এ গ্রন্থে একটি
অধ্যায় সামিল করা হলো। যেখানে
কতিপয় গুণে গুনান্বিত ব্যক্তিকে
জান্নাতে প্রবেশের সু সংবাদ দেয়া
হয়েছে। এ বিষয়ে দু'টি জিনিস স্পষ্ট
করা প্রয়োজন মনে করছি।
মানুষকে জান্নাতে
নিয়ে
যাবে
প্রথমত:
এ অধ্যায়ে আলোচিত গুণাবলীর উদ্দেশ্যও মোটেও এ নয় যে,
এগুলো ব্যতীত আর এমন কোনো
গুণাবলী নেই যে, যা
মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। এ অধ্যায়ে আমরা
শুধু ঐ সমস্ত হাদীসমূহ
বাছাই করেছি যেখানে রাসূলুল্লাহ সালালাহ স্পষ্টভাবে সে জান্নাতে প্রবেশ
করেছে।” এবং “তার জন্য
জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে” ইত্যাদি
শব্দ ব্যবহার করেছেন, যাতে করে কোনো
সন্দেহ বা অপব্যাখ্যার অবকাশ
না থাকে।
সোনার জান্নাতে
প্রবেশ
করার
সুসংবাদ
দ্বিতীয়ত:
যে সমস্ত গুণাবলীর কারণে রাসূলুল্লাহ সোনার জান্নাতে প্রবেশ করার সুসংবাদ দিয়েছেন
তা থেকে এ অর্থ
বুঝা মোটেও ঠিক হবে না
যে, যে ব্যক্তি উল্লেখিত
গুণাবলীর কোনো একটিতে গুণান্বিত
হবে সে সরাসরি জান্নাতে
চলে যাবে।
কবীরা গুনাহ
শাস্তি
ভোগ
একথা
স্মরণ রাখতে হবে যে, ইসলামের
বিধি-বিধানসমূহ একটি অপরটির সাথে
এমনভাবে সম্পর্কিত যে একটি থেকে
অপরটিকে পৃথক করা সম্ভব
নয়। যে কোনো ব্যক্তির
ইসলামের রুকনসমূহের যতই আমল থাকুকনা
কেন, সে যদি পিতা-মাতার অবাধ্য হয়, তাহলে তাকে
এ কবীরা গুনাহ শাস্তি ভোগ করার জন্য
জাহান্নামে যেতে হবে।
জাহান্নামের আগুন
থেকে
রক্ষা
করবেন
তবে
যদি সে তাওবা করে,
আর আল্লাহ তাঁর বিশেষ রহমতে
তাকে ক্ষমা করে দেন, তা
হবে আলাদা বিষয়। অতএব এ অধ্যায়ের
উল্লিখিত হাদীস সমূহের সঠিক অর্থ হবে
এই যে, যে ব্যক্তি
তাওহীদের ওপর বিশ্বাসী হয়ে,
ইসলামের রুকনসমূহ পালন করার জন্য
পরিপূর্ণভাবে চেষ্টা করে, মানুষের হক
আদায় করার ব্যাপারে
প্রথমেই তাকে
জান্নাতে
দিবেন
কোনো
প্রকার অলসতা দেখায় না, কবীরা গুনাহ
থেকে বাঁচার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা
করে, এমন ব্যক্তির মধ্যে
যদি উল্লেখিত গুণাবলীর মধ্য থেকে কোনো
একটি বা তার অধিক
গুণ থাকে, তাহলে আল্লাহ তার স্বীয় দয়া
ও অনুগ্রহের মাধ্যমে নাজানা পাপসমূহ ক্ষমা করে প্রথমেই তাকে
জান্নাতে দিবেন এবং তাকে জাহান্নামের
আগুন থেকে রক্ষা করবেন।
জাহান্নাম থেকে
বের
করে
জান্নাতে
দিবেন
এর
আরেকটি অর্থ এও হতে
পারে যে, যাদের মধ্যে
উল্লেখিত গুণাবলীর মধ্য থেকে কোনো
একটি থাকবে, যদিও সে কোনো
কবীরা গুনাহ কারণে জাহান্নামে যায়ও শেষ পর্যন্ত আল্লাহ
তাকে তার ঐ গুণে
গুণান্বিত হওয়ার কারণে জাহান্নাম থেকে বের করে
অবশ্যই জান্নাতে দিবেন।
তার অন্তরে
শুধু
সরিষা
পরিমাণ
ভাল
আছে
যেমন
এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সালাহ এরশাদ করেছেন, কোনো এক সময়
ঐ ব্যক্তিকেও জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া
হবে যে একনিষ্ঠভাবে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলেছে, আর তার অন্তরে
শুধু সরিষা পরিমাণ ভাল আছে। (মুসলিম)
(এ ব্যাপারে আল্লাহই ভাল জানেন) ৷
প্রাথমিকভাবে জান্নাত
থেকে
বঞ্চিত
মানুষ
এ
গ্রন্থে “জান্নাত থেকে প্রাথমিকভাবে বঞ্চিত
থাকা মানুষ” নামক অধ্যায়টি শামিল
করা হলো, এখানে ঐ
সমস্ত কবীরা গুনাহ কথা আলোচনা করা
হবে, যার কারণে মুসলমান
স্বীয় পাপের শাস্তি ভোগ করার জন্য
প্রথমে জাহান্নামে যাবে। এরপর জান্নাতে প্রবেশ
করবে।
জাহান্নামে যাওয়ার
কারণ
হবে
এ
অধ্যায়েও সমস্ত কবীরা গুনাহ কথা আলোচনা করা
হয় নি, যা জাহান্নামে
যাওয়ার কারণ হবে, বরং
শুধু ঐ সমস্ত হাদীসসমূহ
বাছাই করা হয়েছে যেখানে
রাসূলূল্লাহ সাঃ স্পষ্টভাবে “ঐ
ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না” বা
“আল্লাহ তার ওপর জান্নাত
হারাম করেছে” ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করেছেন।
যাতে করে কোনো কথা
বলার বা অপব্যাখ্যার অবকাশ
না থাকে।
কবীরা গুনাহ
শাস্তি
হলো
জাহান্নাম
একথা
স্মরণ থাকা দরকার যে,
সগীরা গুনাহ কোনো সৎকাজের মাধ্যমে
(তাওবা ব্যতীতই) আল্লাহ স্বীয় দয়ায় ক্ষমা করে দেন। কিন্তু
কবীরা গুনাহ তাওবা ব্যতীত ক্ষমা করা হয় না।
আর কবীরা গুনাহ শাস্তি হলো জাহান্নাম। প্রত্যেক
কবীরা গুনাহ শাস্তিও গুনাহ হিসেবে পৃথক পৃথক।
জাহান্নামের আগুন
টাখনু
পর্যন্ত
স্পর্শ
করবে
যেমন
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, কোনো কোনো
ব্যক্তিকে জাহান্নামের আগুন টাখনু পর্যন্ত
স্পর্শ করবে। আবার কোনো কোনো
ব্যক্তির কোমর পর্যন্ত স্পর্শ
করবে এবং কোনো কোনো
ব্যক্তির গর্দান পর্যন্ত স্পর্শ করবে। (মুসলিম) অন্য এক হাদীসে
বর্ণিত হয়েছে, কোনো কোনো লোকের
সমস্ত শরীরেই আগুন স্পর্শ করবে,
তবে সেজদার স্থানটুকু আগুনের স্পর্শ থেকে মুক্ত থাকবে।
(ইবনে মাজাহ)
জাহান্নাম থেকে
বের
করে
জান্নাতে
প্রবেশ
কবীরা
গুনাহ শাস্তি ভোগ করার পর
আল্লাহ সমস্ত কালিমা পড়া মুসলমানকে জাহান্নাম
থেকে বের করে জান্নাতে
প্রবেশ করাবেন।
প্রথমবারে জান্নাতে
প্রবেশ
কারীদের
অন্তর্ভুক্ত
ঈমানদারগণের
একথা ভুলে যাওয়া ঠিক
হবে না যে, জাহান্নামে
কিছুক্ষণ থাকাতো দূরের কথা বরং তার
মাঝে এক পলক থাকাই
মানুষকে দুনিয়ার সমস্ত নিয়ামত, আরাম আয়েশের কথা
ভুলিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট হবে।
তাই প্রত্যেক মুসলমানের অনুভূতিগতভাবে এ চেষ্টা চালাতে
হবে যে, জাহান্নাম থেকে
সে বেঁচে থাকে এবং প্রথমবারে
জান্নাতে প্রবেশ কারীদের অন্তর্ভুক্ত থাকে। এ জন্য দু'টি বিষয় গুরুত্বের
সাথে দেখা দরকার।
প্রথমত: কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার
জন্য যতদূর সম্ভব চেষ্টা করা, আর যদি
কখনো অনিচ্ছা সত্ত্বে কবীরা গুনাহ হয়ে যায়, তাহলে
দ্রুত আল্লাহর নিকট তাওবা করে
ভবিষ্যতে তা থেকে বেঁচে
থাকার জন্য দৃঢ় মনোভাব
রাখা।
কবীরা গুনাহ
সমূহ
ক্ষমা
করে
দিবেন
দ্বিতীয়ত:
এমন আমল অধিকহারে করা
যার ফলে আল্লাহ স্বয়ং
কবীরা গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে
দিবেন। যেমন নবী সাক্ষাত-এর বাণী: “যে
ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর ৩৩ বার
সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ,
৩৩ বার আল্লাহু আকবার
বলার পর, একবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু,
লাহুল মুলকু, ওয়াহুল হামদু, ওয়ালহুয়া আলা কুল্লি সায়্যিন
কাদীর, বলে আল্লাহ তার
সমস্ত সগীরা গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন ফেনার
সমান হলেও” (মুসলিম)
দশ লক্ষ
নেকীর
দোয়া
অন্য
এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি বাজারে
প্রবেশ করার পূর্বে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু,
লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়া ইউহয়ী ওয়াইউমি,
ওয়াহুয়া হাইয়ুত্যুন লাইয়ামুতু, বিয়াদিহিল খাইর, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শায়্যিন
কাদীর।
আল্লাহ ব্যতীত
অন্য
কোনো
ইলাহ
নেই
অর্থ:
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ
নেই, তিনি এক তাঁর
কোনো শরীক নেই, তাঁর
জন্যই সমস্ত বাদশাহী, তাঁর জন্যই সমস্ত
প্রশংসা, তিনি জীবন ও
মৃত্যু দেন, তিনি চিরঞ্জীব,
মৃত্যুবরণ করবেন না, তাঁর হাতেই
সমস্ত কল্যাণ, তিনি সর্ব বিষয়ের
ওপর শক্তিমান। এ দুআ পাঠ
করবে তার আমলনামায় আল্লাহ
দশ লক্ষ নেকী লিখে
দিবেন এবং দশ লক্ষ
গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন এবং
দশ লক্ষ মর্যাদা বৃদ্ধি
করে দিবেন। (তিরমিযী)
পোস্ট ট্যাগঃ