জান্নাতের নদীর নাম
জান্নাতের নদীর নাম
জান্নাতের একটি
নদীর
নাম
হায়াত
জান্নাতের
একটি নদীর নাম হায়াত,
যার পানি জাহান্নাম থেকে
বেরকৃতদের শরীরে দেয়া হবে, ফলে তারা
দ্বিতীয়বার চারা গাছের ন্যায়
সজিব হবে:
অর্থ:
“আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)
থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ
সাঃ বলেছেন: আল্লাহ স্বীয় দয়ায় যাকে খুশী তাকে
জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং জাহান্নামীদেরকে জাহান্নামে
প্রবেশ করাবেন। (অতঃপর দীর্ঘদিন পর বলবেন দেখ
যে ব্যক্তির অন্তরে বিন্দু পরিমাণ ঈমান আছে তাকে
জাহান্নাম থেকে বের করো।
জান্নাতের নদীসমূহ
থেকে
ছোট
ছোট
নদী
মাসআলা-১৬৩: জান্নাতীরা নিজেদের
ইচ্ছামত জান্নাতের নদীসমূহ থেকে ছোট ছোট
নদী বের করে তাদের
অট্টালিকাসমূহে নিয়ে যেতে পারবে:
দুধ ও
শরাবের
নদী
থাকবে
অর্থ:
“হাকীম বিন মোয়াবিয়া তার
পিতা থেকে তিনি নবী
সাঃ থেকে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন: জান্নাতে পানি, মধু, দুধ ও
শরাবের নদী থাকবে। অতঃপর
ঐ সমস্ত নদী থেকে আরো
ছোট ছোট নদী বের
করা হবে।” (তিরমিযী ৪/২৫৭১)
শরীর কয়লার
ন্যায়
জ্বলে
গেছে
তখন
তারা এমন অবস্থায় বের
হবে যে তাদের শরীর
কয়লার ন্যায় জ্বলে গেছে, তখন তাদেরকে হায়াত
বা হায়া নামক নদীতে নিক্ষেপ
করা হবে, তখন তারা
এমনভাবে সজিব হয়ে উঠবে,
যেমন বন্যার আবর্জনার মাঝে চারাগাছ সজিব
হয়ে উঠে। তোমরা কি
কখনো দেখনি যে কেমন হলুদ
রং বিশিষ্ট হয়ে উঠে?” (মুসলিম
১/১৮৪)
জান্নাতের ঝর্ণাসমূহ
সালসাবিল
জান্নাতের
একটি ঝর্ণার নাম “সালসাবীল” যা
থেকে আদা মিশ্রিত স্বাদ
আসবে:
সেখানে
পান করতে দেয়া হবে
আদা মিশ্রিত পানীয়। জান্নাতের এমন এক ঝর্ণা
যার নাম “সালসাবিল”
(সূরা দাহর ১৫-১৮)
জান্নাতের একটি
ঝর্ণার
নাম
কাফুর
জান্নাতের
একটি ঝর্ণার নাম কাফুর, যা
পানে জাহান্নামীরা আত্মতৃপ্তি লাভ করবে।
অর্থ:
“সৎকর্মশীলরা পান করবে এমন
পানীয় যার মিশ্রণ হবে
কাফুর। এমন একটি প্রশ্রবণের
যা থেকে আল্লাহর বান্দারা
পান করবে, তারা এই প্রস্রবণকে
যথা ইচ্ছা প্রবাহিত করবে।” (সূরা দাহর ৫-৬)
কোনো কোনো
ঝর্ণা
ফোয়ারার
ন্যায়
উদ্বেলিত
হবে
অর্থ:
“তথায় আছে উদ্বেলিত দুই
প্রস্রবণ, অতএব তোমরা উভয়ে
তোমাদের পালন কর্তার কোনো
অবদানকে অস্বীকার করবে।” (সূরা রহমান ৬৬-৬৭)
জান্নাতীদের পরম
আত্মা ও চক্ষু তৃপ্তির
জন্য
জান্নাতীদের
আত্মা ও চক্ষু তৃপ্তির
জন্য সর্বদা পানির ঝর্ণা ও জলপ্রপাতও জান্নাতে
থাকবে: অর্থ: “সেখানে আছে প্রবাহমান ঝর্ণাসমূহ”
(সূরা গাসিয়া ১২)
অর্থ:
সম্প্রসারিত ছায়া, সদা প্রবাহমান পানি।
(সূরা ওয়াকিয়া ৩০-৩১)
মুমিন ও মুত্তাকী
থাকবে
নিরাপদ
স্থানে
মাসআলা:
উল্লেখিত ঝর্ণাসমূহ ব্যতীত জান্নাতীদের আরামের জন্য বিভিন্ন স্থানে
বিভিন্ন রকমের আরো ঝর্ণা থাকবে:
অর্থ: “মুত্তাকীরা থাকবে নিরাপদ স্থানে। উদ্যান ও ঝর্ণার মাঝে”
(সূরা দুখান ৫১-৫২)
অর্থ:
মুত্তাকীরা থাকবে ছায়ায় ও প্রস্রবণ বহুল
স্থানে। তাদের রুচিসম্মত ফলসমূহের প্রাচুর্যের মধ্যে।” (সূরা মুরসালাত ৪১-৪২)
জান্নাতের একটি
ঝর্ণার
নাম
তাসনীম
জান্নাতের
একটি ঝর্ণার নাম “তাসনীম” যার
স্বচ্ছ পানি একমাত্র আল্লাহর
বিশেষ বান্দাদেরকে পান করার জন্য
দেয়া হবে:
মাসআলা:
সৎকর্মশীল (যাদের স্তর বিশেষ বান্দাদের
চেয়ে একটু নীচু হবে)
তাদেরকে উত্তম পানীয়ের সাথে তাসনীমের পানি
মিশ্রণ করে দেয়া হবে
নেককার থাকবে
সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে
অর্থ:
নিশ্চয় নেককাররাই থাকবে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে।
সুসজ্জিত আসনে বসে তারা
দেখতে থাকবে। তুমি তাদের চেহারাসমূহে
সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের লাবণ্যতা দেখতে পাবে। তাদেরকে সীলমোহর করা বিশুদ্ধ পানীয়
থেকে পান করানো হবে।
তার মোহর হবে মিসকের।
আর
প্রতিযোগিতাকারীদের উচিত এ বিষয়ে
প্রতিযোগিতা করা। আর তার
মিশ্রণ হবে তাসনীম থেকে।
তা এক প্রস্রবণ, যা
থেকে নৈকট্যপ্রাপ্তরা পান করবে। (সূরা
মুতাফফিফীন ২২-২৮)
মাসআলা-১৬৯: কোনো কোনো
ঝর্ণা থেকে সাদা উজ্জ্বল
সুস্বাদু পানীয় প্রবাহিত হবে:
জান্নাতে মুখোমুখি
পালঙ্ক
অর্থ:
তাদের জন্য থাকবে নির্ধারিত
রিযিক, ফলমূল; আর তারা হবে
সম্মানিত, নি'আমত-ভরা
জান্নাতে, মুখোমুখি পালঙ্কে। তাদের চারপাশে ঘুরে ঘুরে পরিবেশন
করা হবে বিশুদ্ধ সুরাপাত্র,
সাদা, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। তাতে
থাকবে না ক্ষতিকর কিছু
এবং তারা এগুলো দ্বারা
মাতালও হবে না। (সূরা
সাফ্ফাত ৪১-৪৭)
পোস্ট ট্যাগঃ