জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম
ইসলামে
বিশ্বাসী মুসলিমগণ তাদের সন্তানদের জন্য সুন্দর সুন্দর মহিলা সাহাবীদের ইসলামিক অর্থপূর্ণ নাম খুজে থাকেন। সন্তানের জন্য ইসলামী নাম রাখার তাগিদ আছে। আজকের পোস্টে আমরা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত
মহিলা সাহাবীদের নাম জানবো।
নিচে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম দেওয়া হলো।
হযরত
সুয়াইরা আল আসাদিয়া (রাঃ)
হযরত
সুমাইয়া (রাঃ)
(ইসলামে যে প্রথম শহিদ সাহাবী)
হযরত
ফাতিমা (রাঃ) (রাসূল (সাঃ) এর কন্যা
ও আলী রা. এর
স্ত্রী)
হযরত
আসিয়া (আঃ) (ফেরআউনের স্ত্রী)
হযরত
হাফসা (রাঃ) (রাসূল (সাঃ) এর স্ত্রী
এবং উমর (রা) এর
কন্যা)
হযরত
গুমায়সা বিনতে মিলহান (রাঃ)
হযরত
উম্মে হারাম বিনতে মিলহান (আনাস (রাঃ) এর খালা)
হযরত
খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (রাঃ) (রাসূল (সাঃ) এর স্ত্রী)
হযরত
মরিয়ম বিনতে ইমরান (আঃ) (আল্লাহর রাসূল
(আঃ) এর মা)
হযরত
আয়েশা (রাঃ) (রাসূল (সাঃ) এর স্ত্রী
এবং আবু বকর সিদ্দীক
(রাঃ) এর কন্যা)
হযরত
রবী বিনতে মুআওয়ায
হযরত
উম্মে সুলাইম (রাঃ) (আবু তালহা (রাঃ)
এর স্ত্রী)
উপরে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম
জানার পর এখন জানবো জান্নাতের নেয়ামত সমূহের বর্ণনা।
জান্নাতের অস্তিত্বের
প্রমাণ
রমজান মাসে
জান্নাতের
দরজাসমূহ
খুলে
দেয়া
হয়
কবরে জান্নাতী
ব্যক্তিকে
জান্নাতে
তার
ঠিকানা
দেখানো
হয়
অর্থ:
“পরহেযগারদেরকে জিজ্ঞেস করা হয়, তোমাদের
পালনকর্তা কি নাযিল করেছেন,
তারা বলে মহা কল্যাণ।
যারা এ জগতে সৎকাজ
করে, তাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে
এবং পরকালের গৃহ আরো উত্তম।
পরহেযগারদের গৃহ কি চমৎকার?
সর্বদা বসবাসের উদ্যান, তারা যাতে প্রবেশ
করবে তার পাদদেশ দিয়ে
স্রোতম্বিনী প্রবাহিত হয়। তাদের জন্য
তাতে তাই রয়েছে যা
তারা চায়। এমনিভাবে প্রতিদান দিবেন আল্লাহ পরহেযগার দেরকে” । (সূরা আন
নাহল ৩০-৩১)
৮ টি বেহেশতের
নাম
জান্নাতের অপর
নাম
দারুল
কারার
(স্থায়ী
বসবাসের
গৃহ):
অর্থ:
“হে আমার কাওম, পার্থিব
এ জীবন তো কেবল
উপভোগের বস্তু, আর পরকাল হচ্ছে
স্থায়ী বসবাসের গৃহ”। (সূরা
আল মু'মিন: ৩৯)
জান্নাতের অপর
নাম
মাকামুন
আমীন
(নিরাপদ
স্থান):
অর্থ:
“নিশ্চয়ই আল্লাহভীরুরা নিরাপদ স্থানে থাকবে। উদ্যানরাজি ও নির্ঝরিণীসমূহে”।
(সূরা দুখান: ৫১-৫২)
জান্নাতকে দারুল
আখেরা
(পরকালের
ঘর
ও)
বলা
হয়:
অর্থ:
“পরহেযগারদের জন্য পরকালের ঘরই
উত্তম, তারা কি এখনো
বুঝে না।” (সূরা ইউসুফ: ১০৯)
জান্নাতকে জান্নাতুন
নায়ীম
(নিআমত
ভরপুর
জান্নাত)
ও
বলা
হয়:
অর্থ:
“অগ্রবর্তীগণ তো অগ্রবর্তীই। তারাই
নৈকট্যশীল, অবদানের উদ্যানসমূহে।” (সূরা ওয়াকিয়াহ ১০,১২)
জান্নাতকে জান্নাতে
আদনও
বলা
হয়:
নবী
সাঃ বলল জান্নাতে ওমর (রা)-এর
ঠিকানা দেখে এসেছেন
অর্থ:
“আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন, আমরা একদা নবী
সাঃ এর নিকট ছিলাম
তখন তিনি বললেন: আমি
ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম হঠাৎ করে আমি
আমাকে জান্নাতে দেখতে পেলাম? আমি একটি অট্টালিকার
পাশে এক মহিলাকে ওযু
করতে দেখে জিজ্ঞেস করলাম
যে, এ অট্টালিকাটি কার?
তারা
বলল: এটা ওমর বিন
খাত্তাব (রাঃ)-এর আমি
তখন তার আত্মমর্যাদা রোধের
কথা চিন্তা করলাম। তাই আমি ফিরে
গেলাম। তখন ওমর (রাঃ)
কাঁদলেন এবং বললেন: হে
আল্লাহর রাসূল! আমি কি আপনার
ওপর আত্মমর্যাদা বোধ দেখাব?” (বুখারী
৪/৩২৪২)
৮ টি বেহেশতের নাম
জান্নাতের
একটি নাম দারুসসালাম: (নিরাপত্তার
ঘর)
জান্নাতের অপর
নাম
দারুল
মুত্তাকীন (পরহেযগার
লোকদের গৃহ):
জান্নাতের নেয়ামত
অর্থ:
এরাই তারা, যাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী
জান্নাতসমূহ, যার নিচ দিয়ে
প্রবাহিত হয় নদীসমূহ। সেখানে
তাদেরকে অলংকৃত করা হবে স্বর্ণের
চুড়ি দিয়ে এবং তারা পরিধান
করবে মিহি ও পুরু
সিল্কের সবুজ পোশাক। তারা
সেখানে (থাকবে) আসনে হেলান দিয়ে।
কী উত্তম প্রতিদান এবং কী সুন্দর
বিশ্রামস্থল! (সূরা কাহাফ ১৮:৩১)
আলকুরআনের আলোকে
জান্নাত
মাসআলা-১১: ঈমান আনার
পর সৎ আমলকারী জান্নাতে
প্রবেশ করবে:
মাসআলা-১২: জান্নাতের ফলসমূহের
নাম ও আকৃতির দিক
থেকে দুনিয়ার ফলের অনুরূপ হবে:
মাসআলা-১৩: জান্নাতী মহিলাগণ
বাহ্যিক ত্রুটি যেমন (হায়েয, নেফাস) এবং অভ্যান্তরীন ত্রুটি
যেমন: (রাগ, গিবত, হিংসা)
ইত্যাদি থেকে পবিত্র থাকবে:
জান্নাতের জীবন
হবে
চিরস্থায়ী
জান্নাতের নেয়ামত
অর্থ:
আর যারা ঈমান এনেছে
এবং নেক কাজ করেছে
তুমি তাদেরকে সুসংবাদ দাও যে, তাদের
জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যার তলদেশ দিয়ে
প্রবাহিত হবে নদীসমূহ। যখনই
তাদেরকে জান্নাত থেকে কোনো ফল
খেতে দেয়া হবে, তারা বলবে,
'এটা তো পূর্বে আমাদেরকে
খেতে দেয়া হয়েছিল'। আর তাদেরকে
তা দেয়া হবে সাদৃশ্যপূর্ণ করে
এবং তাদের জন্য তাতে থাকবে
পূতঃপবিত্র স্ত্রীগণ এবং তারা সেখানে
হবে স্থায়ী। (সূরা বাক্বারা ২:২৫)
অর্থ:
“তোমাকে এই দেয়া হলো
যে, তুমি এতে ক্ষুধার্ত
হবে না এবং বস্ত্রহীন
হবে না। আর তোমার
পিপাসাও হবে না এবং
রোদ্রের কষ্টও পাবে না। (সূরা
ত্বহা: ১১৮, ১১৯)
একই বংশের
নেককার
লোকেরা
যেমন:
বাপ-দাদা,
স্ত্রী-সন্তান,
ইত্যাদি
জান্নাতে
একই
স্থানে
থাকবে:
অর্থ:
স্থায়ী জান্নাতসমূহ, যাতে তারা এবং
তাদের পিতৃপুরুষগণ, তাদের স্ত্রীগণ ও তাদের সন্তানদের
মধ্যে যারা সৎ ছিল
তারা প্রবেশ করবে। আর ফেরেশতারা প্রতিটি
দরজা দিয়ে তাদের নিকট প্রবেশ করবে।
(আর বলবে) “শান্তি তোমাদের উপর, কারণ তোমরা
সবর করেছো, আর আখিরাতের এ
পরিণাম কতই না উত্তম।
(সূরা রা'আদ ১৩:২৩-২৪)
জান্নাতীদের জান্নাতে
কোনো
প্রকার
কষ্ট
বা
পরিশ্রম
করতে
হবে
না
অর্থ:
“তাদের মোটেই কষ্ট হবে না
এবং তারা সেখান থেকে
বহিষ্কৃতও হবে না। ”(সূরা
হিজর: ৪৮)
মাসআলা-২২: জান্নাতে জান্নাতীদের
সাথে যথেষ্ট সম্মানজনক ব্যবহার করা হবে:
মাসআলা-২৩: জান্নাতের খাদেমরা
জান্নাতী লোকদের জন্য সাদা রংয়ের
সুমিষ্টি মদের পান পাত্র
পেশ করবে:
জান্নাতী মদ
নেশা
মুক্ত
হবে
মাসআলা-২৫: পাখার নীচে
লুকায়িত সুরক্ষিত ডিমের চেয়ে নরম ও সুন্দর
চোখ বিশিষ্ট হুরেইন জান্নাতীদেরকে পুরস্কার স্বরূপ দেয়া হবে
মাসআলা-১৫: জান্নাতীগণ কিয়ামতের
দিন সর্বপ্রকার অপমান ও লাঞ্ছনা থেকে
নিরাপদ থাকবে।
জান্নাতীরা জান্নাতে
আল্লাহর
দীদার
লাভ
করবে
আল্লাহকে কিভাবে
পাওয়া
যাবে
অর্থ:
যারা ভালো কাজ করে
তাদের জন্য রয়েছে শুভ
পরিণাম (জান্নাত) এবং আরও বেশি।
আর ধূলো মলিনতা ও লাঞ্ছনা তাদের
চেহারাগুলোকে আচ্ছন্ন করবে না। তারাই
জান্নাতবাসী। তারা তাতে স্থায়ী
হবে। (সূরা ইউনুস ১০:২৬)
মাসআলা-১৭: ঈমানদারদের মধ্য
থেকে যাদের অন্তরে পরস্পরের ব্যাপারে কোনো প্রকার হিংসা
বা অপছন্দনীয়তা থাকবে জান্নাতে যাওয়ার পর আল্লাহ তা
মিটিয়ে দেবেন
মধুর নহর
নীচ দিয়ে প্রবাহিত হবে
অর্থ:
আর তাদের অন্তরে যে ঈর্ষা ছিলো,
আমি তা বের করে
নিয়েছি। তাদের নীচ দিয়ে নহরসমূহ
প্রবাহিত হবে। আর তারা
বলবে, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি এর জন্য
আমাদেরকে হিদায়াত দিয়েছেন। আর আমরা হিদায়াত
পাওয়ার ছিলাম না, যদি না
আল্লাহ আমাদেরকে হিদায়াত দিতেন। অবশ্যই আমার রবের রাসূলগণ
সত্য নিয়ে এসেছেন' এবং তাদেরকে ডাকা
হবে যে, ‘ঐ হলো
জান্নাত, তোমরা যা আমল করেছো,
তার বিনিময়ে তোমাদেরকে এর উত্তরাধিকারী করা
হয়েছে'। (সূরা আরাফ
৪৩)
মাসআলা-১৮: জান্নাতে জান্নাতীরা
কখনো ক্ষুধা এবং পিপাসা অনুভব
করবে না:
মাসআলা-১৯: জান্নাতে না
বেশি ঠাণ্ডা হবে না বেশি
গরম বরং নাতিশীতোষ্ণ থাকবে:
জান্নাতে না
বেশি
ঠাণ্ডা
হবে
না
বেশি
গরম
অর্থ:
তাদের জন্য থাকবে নির্ধারিত
রিযিক, ফলমূল; আর তারা হবে
সম্মানিত, নি'আমত-ভরা
জান্নাতে, মুখোমুখি পালঙ্কে। তাদের চারপাশে ঘুরে ঘুরে পরিবেশন
করা হবে বিশুদ্ধ সুরাপাত্র,
সাদা পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। তাতে
থাকবে না ক্ষতিকর কিছু
এবং তারা এগুলো দ্বারা
মাতালও হবে না। তাদের
কাছে থাকবে আনতনয়না, ডাগরচোখা। তারা যেন আচ্ছাদিত
ডিম। (সূরা সাফ্ফাত ৪১-৪৯)
মাসআলা-২৬: জান্নাতীদের জন্য
জান্নাতে আদনে এমন বাগানসমূহ
থাকবে যার দরজাসমূহ তাদের
জন্য সর্বদা খোলা থাকবে:
মাসআলা-২৭: জান্নাতীরা সেকেন্ডের
মধ্যে যথেষ্ট ফল-মূল, পানীয়
পান করবে তা সাথে
সাথেই হজম হয়ে যাবে:
মাসআলা-২৮: জান্নাতী হুরগণ
খুব সুন্দর লাজুক ও সুন্দর চোখ
বিশিষ্ট তারা তাদের স্বামীদের
সম বয়ষ্কা হবে:
মাসআলা-২৯: জান্নাতের নিআমতসমূহ
কখনো কমবেও না এবং শেষও
হবে না।
পোস্ট ট্যাগঃ